Sandeshkhali: রোহিঙ্গারাও থাকতে পারে, সন্দেশখালি নিয়ে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের দুষ্কৃতী তাণ্ডবের মুখে পড়ার ঘটনায় একযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করল বিরোধীরা। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তারা। সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের ওপরে হামলার একযোগে নিন্দা করেছে সমস্ত বিরোধী দল।

এই ঘটনা নিয়ে বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। তৃণমূল সরকার চায় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক। আর সংবাদমাধ্যমের ওপরে হামলার তীব্র নিন্দা করি। এর থেকে জঘন্য ঘটনা আর কিছু হতে পারে না।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ভয়াবহ! পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় তীব্র অরাজকতা চলছে। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা নৃশংস হামলার শিকার হয়েছে। আমার সন্দেহ দেশবিরোধী এই হামলাকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গারাও ছিল। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ জি, রাজ্যপাল, ইডির ডিরেক্টর ও সিআরপিএফকে অনুরোধ করব, নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতে ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। NIA-এরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।’

এর পরে জানা যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ফোনে কথা হয়েছে। ফোনে শাহকে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন তিনি।

এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে কংগ্রেসও। তাদের দাবি, কেন্দ্র রাজ্যের মধ্যে ফেডারেল স্ট্রাকচার ভেঙে ফেলতে চায় তৃণমূল। দুষ্কৃতীরা জেনে গিয়েছে, তৃণমূলের ছাতার তলায় থাকলে যে কোনও অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়া যাবে। তাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা।

শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী – পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।

একই সঙ্গে আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা ও সরাসরি সম্প্রচারের যন্ত্রাংশ। একাধিক সাংবাদিকের মাথা ফেটেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।