WB Youth Hostel: যুব আবাসের দায়িত্ব যাবে বেসরকারি এজেন্সির হাতে, ভাড়া কি বাড়বে?

অনেকের কাছেই আশা ভরসার জায়গা হল রাজ্য়ের যুব আবাস। বিশেষত ছাত্র যুবদের কাচে। তবে ইদানিং এই যুব আবাসগুলি ক্রমেই বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই যুব আবাসের দেখভাল সেভাবে করা যায়নি। যার জেরেই একাধিক জেলায় এই যুব আবাসে বয়সের ছাপ পড়ে গিয়েছে।

 কিন্তু সেই যুব আবাসকেই এবার বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, অন্তত ৩৪টি যুব আবাসকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই যুব আবাসকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হলে আখেরে কতটা সুবিধা হবে তা নিয়েও চর্চা চলছে পুরোদমে।

রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে এই যুব আবাস তৈরি করা হয়েছিল। একটা সময় অনেকেই এই যুব আবাসগুলিতে প্রয়োজনে রাত্রিবাস করতেন। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে সেই যুব আবাসের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ক্রমশ বাড়়ছে। এদিকে এই যুব আবাস দেখবালের খরচ সামলানো রাজ্যে সরকারের কাছে যথেষ্ট সমস্যার। কারণ এই যুব আবাস থেকে রাজ্য সরকারের আয় সেভাবে হয় না। সেকারণেই এবার কলকাতা সহ রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা যুব আবাসগুলিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যুব আবাস বেসরকারি সংস্থার হাতে গেলে কী হবে? 

যুব আবাস বেসরকারি সংস্থার হাতে গেলে এই যুব আবাসের কিছুটা উন্নতি হতে পারে। পরিষেবাগত উন্নয়ন হতে পারে। তবে এগুলি শর্তসাপেক্ষেই বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। কেবলমাত্র যাতে পর্যটকরাই যাতে এই যুব আবাসে থাকতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ যুব আবাসের নিজস্ব কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মটি মানতে হবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাকে। তবে বেসরকারি সংস্থা এই যুব আবাসের দেখভাল করলে এই আবাসের উন্নয়ন হবে। এগুলি আরও ঝা চকচকে হবে। সামগ্রিকভাবে পর্যটকদের সুবিধার্থে একাধিক স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করা হবে। 

এদিকে দিঘা, গজলডোবা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে যুব আবাস রয়েছে সেগুলির প্রতি পর্যটকদের যথেষ্ট আকর্ষণ রয়েছে। তবে বেসরকারি সংস্থার হাতে গেলেও ভাড়া যাতে লাগামছাড়া না হয়ে যায় সেটা দেখা হবে। ছাত্র যুবদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। দফতরের অনুমোদিত অতিথিদের রাখার জন্য দুটি এসি রুম থাকবে। ডরমিটরিতেও যাতে পরিষেবার মান উন্নত থাকে সেটা দেখা হবে।