বনগাঁ–সন্দেশখালি কাণ্ডে পুলিশকে দায়ী করল কেন্দ্রীয় সংস্থা, কড়া বিবৃতি ইডির

সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। আর তার জেরে অফিসারদের বেধড়ক মারধর খেতে হয়। এই মারধরে দু’‌জনের মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। গাড়ি ভাঙচুর হয় এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী হামলার মুখে পড়ে। শুক্রবার সকালের এই ঘটনা রাজ্য–রাজনীতিকে সরগরম করে তুলেছে। আবার বনগাঁতেও প্রায় একই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানোর পরেও কেমন করে অফিসারদের উপর হামলা হল সেটা নিয়ে এবার পুলিশকে বিঁধে বিবৃতি জারি করল ইডি।

এদিকে সন্দেশখালির এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়টিতে প্রশ্ন তুলেছে তারা। পুলিশ সহযোগিতা করেনি বলেই অভিযোগ তুলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফোন করে নাকি পাওয়াই যায়নি পুলিশকে বলে অভিযোগ। এই অভিযানের ইমেল করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। এমনকী পুলিশ সুপারকে পর্যন্ত ফোন করে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও নিরাপত্তা পাওয়া যায়নি। তাই গ্রামবাসীরা এবং শাহজাহানের অনুগামীরা ঘিরে ধরে মারধর, ভাঙচুর করে। এই পরিস্থিতি আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। যা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে ইডি বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে এই হামলার ঘটনায় তিনজন আধিকারিক জখম হন। আবার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। রাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে বাড়ি থেকে বের করার সময় ইডির আধিকারিকদের উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা বলে অভিযোগ। তাঁরা তৃণমূল নেতা শঙ্করেরই অনুগামী বলে দাবি ইডির। তখন ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট–পাটকেল ছোড়া। পাল্টা জওয়ানরাও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী জওয়ানরা তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে তাড়া করে। পরে বনগাঁ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌বাম আমলে ইংরেজি শিক্ষা তুলে দেওয়া হয়েছিল, আমরা চালু করেছি’‌, দাবি মমতার

এছাড়া আজ, সোমবার প্রেস বিবৃতিতে ইডি দাবি করেছে, শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে ইমেল করা হয় বনগাঁর পুলিশকে। তাতে তল্লাশি অভিযানের কথা জানানো হয়েছিল। বিকেল ৪টে নাগাদ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। আর নিরাপত্তা চাওয়া হয়। কিন্তু যেখানে তল্লাশি চলছিল সেখানে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বড় জমায়েত হয়। আর ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা হয়। তবে ওই ঘটনায় কোনও ইডি আধিকারিক আক্রান্ত হননি। গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বনগাঁ থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এফআইআরের প্রতিলিপি এখনও হাতে আসেনি। আর এই সন্দেশখালি কাণ্ডে ন্যাজাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তার প্রতিলিপিও হাতে আসেনি।