গাজা নিয়ে আলাপ করতে ইসরায়েলে ব্লিঙ্কেন

মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে ইসরায়েল সফরে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় যুদ্ধোত্তর শাসনের বিষয়ে আলোচনা শুরু করার, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আরও সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে চাপ দেবেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আমি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় এবং যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইসরায়েল সরকারকে চাপ দেব।’

এদিকে, ইসরায়েলি দুই সিনিয়র কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মাকিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ব্লিঙ্কেনকে বলবেন, হামাসের হাতে আটক আরও জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া না হলে গাজার বেসামরিকদের অঞ্চলটির উত্তরে ফিরে যেতে দেওয়া হবে না।

তিন মাস আগে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলকে দৃঢ় সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন শেষ হলে গাজা শাসনের জন্য নেতানিয়াহু বিশদ কোনও সাধারণ পরিকল্পনা প্রস্তাব করতে অস্বীকার করলে তা ওয়াশিংটনকে ক্ষুব্ধ করে। তিনি পশ্চিম তীর এবং গাজাকে নিয়ে একীভূত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মার্কিন প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইসরায়েলও গাজায় তার আগ্রাসন প্রত্যাহার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, তার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং আরব নেতাদের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে।

সোমবার দক্ষিণ ক্যারোলিনার একটি ঐতিহাসিক কৃষ্ণাঙ্গ গির্জা পরিদর্শন করার সময় বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন বিক্ষোভকারীরা ‘এখনই যুদ্ধবিরতি’ চাই বলে চিৎকার করছিলেন।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, এই অপারেশনটি যুদ্ধের একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে। গাজায় ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। সেখানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৩ হাজার ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেআরও হাজার হাজার মানুষ।

গাজায় চলমান এ যুদ্ধ ইসরায়েল এবং গাজার সীমানা ছাড়িয়ে যাতে অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে এই লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন ব্লিঙ্কেন। কেননা এ যুদ্ধের জেরে ইসরায়েলের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মধ্যে সীমান্তে বিরোধ চলছে। সর্বশেষ সোমবার দক্ষিণ লেবাননে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার এবং সিরিয়ায় হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।