বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ কুণাল–দিলীপের, শাসক–বিরোধীর সাঁড়াশি চাপ

একদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশংসা করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আবার পর মুহূর্তেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। তাতে জবাব দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তবে প্রশংসা করে নয়। বরং বিচারপতিকে মন্তব্য ছেড়ে কিছু করে দেখাতে আহ্বান করেছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। কুণাল ঘোষের চ্যালেঞ্জ আর দিলীপ ঘোষের চাপ মিলিয়ে সাঁড়াশি চাপে পড়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য করেছেন, ‘‌অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতো সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? হলফনামা দিয়ে সম্পত্তির খতিয়ান দিন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।’‌ ঠিক তার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিচারপতিকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল বলেন, ‘‌আপনার এত কৌতূহল থাকলে বিচারপতির পদ ছেড়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবারেই প্রার্থী হোন। অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়ে দেখান।’‌ আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আয়কর দফতরে চিঠি লিখেছেন শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসাবে বার্ধক্য ভাতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা দিয়েছেন, তার উৎসের তদন্ত করা হোক। যদিও এতে পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস।

অন্যদিকে বিচারপতি গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। আর তিনি সাংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‌আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগে। একজন নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? তিনি একটা হলফনামা দিয়ে ঘোষণা করবেন যে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত? সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটা পোস্ট করতে পারবেন?’‌ এই মন্তব্যের জবাবেই বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‌এর আগেও এই ব্যাপারে একাধিকবার বিচারপতি মন্তব্য করেছেন। কিন্তু লাভ কী হয়েছে? এত সম্পত্তি কোথা থেকে এসেছে। সোর্স কী। হিসাব জানাতে হবে। কিন্তু কী করতে পেরেছেন! করে দেখাতে হবে তো?’‌

আরও পড়ুন:‌ চরম বিপাকে পড়লেন শাহজাহান, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন দুই পরিবার

এছাড়া কুণাল–দিলীপ একযোগে কড়া বাক্যবাণ নিক্ষেপ করেছেন বিচারপতির দিকে। কুণাল ঘোষের কথায়, ‘‌যদি অভিষেকের সম্পত্তি নিয়ে এত কৌতুহল, তাহলে তাঁর হলফনামাগুলি দেখে নিন না। ওখানেই তো সব পেয়ে যাবেন। আপনার তো এবার শেষ বছর। এই বছরই অবসর। আপনি স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবার থেকেই অভিষেকের বিরুদ্ধে বিরোধী কোনও একটা দল থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন।’‌ আর দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‌দু’‌চারজন ফালতু লোক দেশের মানুষের করের কোটি টাকা লুঠ করবে। সম্পত্তি কিনবে। আবার আদালতে গিয়ে জামিন পেয়ে যাবে। তারপরও কি মানুষের আস্থা, শ্রদ্ধা থাকবে?’‌