CEO Mother Murders Son in Goa: গোয়ায় নিজের ৪ বছরের সন্তানকে খুন AI স্টার্টআপের মহিলা CEO-র, গ্রেফতার দেহ পাচারের সময়

নিজের চার বছরের পুত্র সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ৩৯ বছর বয়সি মহিলা। ধৃতের নাম সুচনা সেঠ। তিনি বেঙ্গালুরু ভিত্তিক একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স স্টার্টআপ সংস্থার সিইও বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মাইন্ডফুল এআই ল্যাব নামক সংস্থার প্রধান এই সুচনা। গোয়ায় নিজের সন্তানকে খুন করেন তিনি। যদিও খুনের কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। ট্যাক্সি করে দেহ পাচারের সময় কর্ণাটকের চিত্রদুর্গে গ্রেফতার হন সুচনা। (আরও পড়ুন: মহাশূন্যে মহা বিপদের মুখে মার্কিন মহাকাশযান, ফেল করবে ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন?)

আরও পড়ুন: এবার বিমানে পছন্দের আসন পেতে খসাতে হতে পারে অতিরিক্ত ২০০০ টাকা! জানাল ইন্ডিগো

বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তর গোয়ার ক্যান্ডোলিমে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে নিজের সন্তানের সঙ্গে থাকছিলেন সুচনা। মনে করা হচ্ছে, সেই অ্যাপার্টমেন্টেই ছেলেকে খুন করেন সুচনা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত শনিবার উত্তর গোয়ার সোল বানিয়ান গ্রান্ডে-র একটি অ্যাপার্টমেন্টে চেকইন করেছিলেন সুচনা। এরপর সোমবার তিনি সেই অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে দেন। তিনি সোল বানিয়ান গ্রান্ডে-র কর্মীদের তাঁর জন্য একটি ট্যাক্সি বুক করার জন্য বলেন। সেই ট্যাক্সি করে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেই সময় অবশ্য সোল বানিয়ান গ্রান্ডে-র কর্মীরা সুচনাকে বিমানে করে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে সুচনা ট্যাক্সি ডাকার ওপরই জোর দেন। এদিকে সেই সময় সোল বানিয়ান গ্রান্ডে-র কর্মীরা লক্ষ্য করেন, ছেলের সঙ্গে সেখানে এলেও অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়ার সময় তিনি একা। তাতে সন্দেহ হয় তাঁদের।

এদিকে সুচনা সেই জায়গা ছাড়ার পর হাউজকিপিং কর্মীরা সেই অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে রক্তের দাগ দেখতে পান। এরপরই সোল বানিয়ান গ্রান্ডে-র কর্মীরা বিষয়টি জানান গোয়া পুলিশকে। এরপর গোয়া পুলিশ সেই ট্যাক্সি চালকের ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন করে। পুলিশ সুচনার সঙ্গে কথা বলতে চায়। সুচনার থেকে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর সন্তান এখন কোথায়। জবাবে সুচনা দাবি করেন, তাঁর সন্তান এক বন্ধুর সঙ্গে আছে। একটি ভুয়ো ঠিকানাও দেন তিনি। গোয়া পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে আবার সেই ট্যাক্সি চালককে ফোন করে। এবারে ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে কোঙ্কনি ভাষায় কথা বলে পুলিশ। যাতে সুচনা তাঁদের কথোপকথন বুঝতে না পারে। ট্যাক্সি চালককে চিত্রদুর্গ পুলিশ থানায় যেতে নির্দেশ দেয় গোয়া পুলিশ। এরপর ট্যাক্সি চালক সুচনার অজ্ঞাতেই পুলিশ থানায় গিয়ে হাজির হয়। সেখানে চিত্রদুর্গ থানার পুলিশ সুচনাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির সময় সুচনার কাছ থেকে একটি ব্যাগ পাওয়া যায়। তাতেই ছিল তাঁর ছেলের মৃতদেহ। পরে জেরার জন্য সুচনাকে গোয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে সুচনার লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, তিনি হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। ডেটা সায়েন্সে তাঁর ১২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।