Ranji Trophy 2024: Delhi Sack Yash Dhull As Skipper After Big Defeat To Puducherry Get To Know

নয়াদিল্লি: রঞ্জিতে অধিনায়ক হিসেবে ব্যর্থ। দিল্লির নেতৃত্বভার হারালেন যশ ধূল। পুদুচ্চেরীর বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে দিল্লিকে। এরপরই দিল্লি জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে যশকে অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর বদলে সিনিয়র ক্রিকেটার হিম্মত সিংহকে রঞ্জি বাকি টুর্নামেন্টের জন্য দিল্লি দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে দিল্লির পরের ম্যাচে জম্মু কাশ্মীরের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামবেন হিম্মত। পুদুচ্চেরীর বিরুদ্ধে ম্যাচে ২ ইনিংসে যথাক্রমে ১৪৮ ও ১৪৫ রানের বেশি বোর্ডে তুলতে পারেনি নয়াদিল্লি। ম্যাচে ৯ উইকেটে হারতে হয় তাঁদের। এমনকী ম্যাচে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২ ও ২৩ রান করেন ধূল। 

দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব রাজন মনচন্দা জানিয়েছেন, ”যশ অত্যন্ত প্রতিভাবান প্লেয়ার। কিন্তু এই মুহূর্তে ও ফর্মের বাইরে রয়েছে। আমরা চাই যে ব্যাটার হিসেবে ও নিজে খোলা মনে খেলুক ম্যাচগুলোয়। তাই নেতৃত্বভার ওর থেকে সরিয়ে নেওয়া হল। হিম্মত আমাদের সিনিয়র প্লেয়ার। আগেও ভালভাবে দায়িত্ব সামলেছে। রঞ্জিতে বাকি ম্যাচগুলোতে ওই দায়িত্ব সামলাবে।”

২০২২ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন যশ ধূল। তাঁর নেতৃত্বেই ভারত খেতাব জিতেছিল। এরপর সেই বছরই ডিসেম্বরে ধূলকে দিল্লি রাজ্য দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়। যধিও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিষেক হয়েছিল ধূলের। তবে অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম ম্য়াচেই শতরান হাঁকিয়েছিলেন ধূল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একনও পর্যন্ত ১১৮৫ রান করেছেন ধূল ৪৩.৮৮ গড়ে। মোট ১৭ ম্যাচ খেলেছেন ধূল। গত রঞ্জিতে মাত্র ২৭ গড়ে ব্যাটিং করেছেন তরুণ এই ব্য়াটার। 

বাংলার ড্র

ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে বাংলার পথের কাঁটা রিকি ভুঁইই (Ricky Bhui)। সেই ভুঁইয়ের ব্যাটে ভর করেই প্রথম ইনিংসে বাংলাকে পিছনে ফেলে দিল অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh vs Bengal)। রঞ্জি (Ranji Trophy 2024) মরশুমের প্রথম ম্যাচ থেকে বাংলার ঘরে এল মাত্র এক পয়েন্ট।

বিশাখাপত্তনমে রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপ বি-তে রাজাশেখরা রেড্ডি এসিএ ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদারের দুরন্ত শতরানের ভর করে ৪০৯ রানে বোর্ডে তুলেছিল বাংলা। জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে ভুঁইয়ের দুরন্ত শতরানে মাত্র ৭০ রানে পিছিয়ে ছিল অন্ধ্র। হাতে ছিল চার উইকেট। ম্যাচের শেষদিনের শুরুর দিকে উইকেট তোলার প্রয়োজন ছিল বাংলার। 

তবে রিকি ভুঁইয়ের অনবদ্য ১৭৫ রানের ইনিংসে বাংলাকে পিছনে ফেলে দেয় অন্ধ্রপ্রদেশ। চতুর্থ দিনের শুরুতে বাংলার বোলাররা উইকেটই নিতে পারেননি। সপ্তম উইকেটে শোয়েব মহম্মদ খানের সঙ্গে রিকি ভুঁই ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই পার্টনারশিপই প্রথম ইনিংসে অন্ধ্রর লিড নেওয়া নিশ্চিত করে দেয়।