উলফা-আই নেতা পরেশ বড়ুয়ার ডিব্রুগড়ের বাড়ি থেকে নিরাপত্তা প্রত্যাহার

 ডিব্রুগড়ে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম-ইন্ডিপেন্ডেন্টের (উলফা-আই) প্রধান পরেশ বড়ুয়ার বাসভবনের বাইরে মোতায়েন রক্ষীদের সরিয়ে নিল আসাম সরকার।

২০০০ সালের ৬ ডিসেম্বর অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা বিদ্রোহী নেতার বাড়িতে একাধিক গুলি চালানোর পর তার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।

বড়ুয়া কয়েক দশক ধরে বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি। পরিবারের এক সদস্য স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নিরাপত্তা কর্মীদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। বড়ুয়ার ভাই বিকুল বড়ুয়া এবং কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ডিব্রুগড়ের চাবুয়া এলাকার বাড়িতে থাকেন।

ডিব্রুগড়ের পুলিশ সুপার শ্বেতাঙ্ক মিশ্র এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) প্রশান্ত কুমার ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

১১ বছর পর গত ২৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে উলফার আলোচনাপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক দিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হল।

পরেশ বড়ুয়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সরকারের শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছেন এবং ২০১২ সালে আলফা ইন্ডিপেন্ডেন্ট গঠন করেন। জঙ্গি গোষ্ঠীটির পরেশ বড়ুয়া গোষ্ঠী সোমবার দাবি করেছে, নিরাপত্তা বাহিনী মিয়ানমারে তাঁদের একটি শিবিরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবে ড্রোন হামলায় মাত্র দু’জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি। ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।

আলোচনাপন্থীদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উলফা আই ছাড়া অসমের সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠী অস্ত্রসমর্পণ করেছে এবং সমাজের মূল ধারায় ফিরে এসেছে।

এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান তিনি ফোনে পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি উলফা-১-এর কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তাঁকে অসমে থাকার কথা বলেছি। কিন্তু যতক্ষন না তিনি সার্বভৌমত্বের দাবি ছেড়ে না দেন, ততক্ষণ তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব নয়।’

বড়ুয়া পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “অন্য রাজ্যের বাসিন্দা কিছু সিনিয়র পুলিশ ও সেনা কর্মী বোমা নিক্ষেপ করে আমাদের উপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তা কাজ করবে না, কেউ চাপ সৃষ্টি করে আমাদের আলোচনায় আনতে পারবে না।