Jadavpur University: ভিসি অফিসে যাওয়া বন্ধ করলেন বুদ্ধদেব, যাদবপুরে অচলাবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে

সঙ্কট ক্রমশ গভীর হচ্ছে যাদবপুর বিশ্বাবিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তের আগে রাজ্যপাল তথা আচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণ করেছিলেন। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চিঠি দিয়ে দিয়ে সাউকে আবার নিয়োগ করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। সমাবর্তনের পরও তিনি অফিসে আসছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ বিবৃতি দিয় উপাচার্য জানান যে তিনি আর অফিসে আসবে না।  তার চেয়ে তিনি তাকিয়ে থাকবেন  উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে, মুপ্রিম কোর্টে করা মামলার দিকে। 

বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘চলমান আইনি  লড়াই ও একের পর এক প্রশাসনিক নির্দেশিকা ঘিরে বিভ্রান্তির কারণেই আমাকে উপাচার্যর অফিসে আপাতত না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’

কেন এই সিদ্ধান্ত তা জানিয়ে বুদ্ধদেব লিখেছেন, বিশেষ করে আচার্যর অফিস এবং তার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের তরফে বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যে যোগাযোগ করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত। আচার্য ও রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমাদের প্রিয় যাদবপুরে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক পরিবেশে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে দয়া করে একসঙ্গে এগিয়ে আসুন এবং অচলাবস্থার সমাধান করুন।’

তাঁর এই সিদ্ধান্তের পর বিপাকেই পড়ল বিশ্ববিদ্যালয়। সই না হওয়ার অনেক ভেন্ডারের টাকা আটকে রয়েছে। প্রশাসনিক কাজকর্ম ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের পাশাপাশি হস্টেল-সহ অন্যত্র এজেন্সির মাধ্যমে প্রচুর কর্মী কাজ করেন। তাঁদের বেতন আটকে গিয়েছে। সামনের ন্যাক পরিদর্শনে আসবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার আগে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রয়েছে।

২৪ ডিসেম্বরের পর থেকে তিনি শিক্ষা দফতরের নির্দেশেই ভিসি রয়েছেন। সমাবর্তনের পর বেশ কয়েক বার ভিসি’র অফিসে গিয়েছেন। হাইকোর্টের আগের একটি রায়ে উপাচার্য নিয়োগে আচার্যের ক্ষমতায় সিলমোহর দিয়েছিল । তাই আচার্যের  নির্দেশ না-মেনে ভিসি’র কাজ চালালে বিশ্ববিদ্যালয় আইনি জটিলতায় জড়িয়ে যেতে পারে বলে অনেকই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই আইনি জটিলতা এড়াতে তিনি ভিসি অফিসে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

এই পরিস্থিতি নিয়ে যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠনগুলিও উদ্বিগ্ন।  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার আশু সমাধান চেয়ে বুধবারই আচার্য ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরে চিঠি পাঠাবেন। জরুরি ভিত্তিতে দেখা করার সময় চাইবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক সব কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিনি এই সময়কে বলেন,  ‘আমাদের প্রধান দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে ইউজিসি-র নিয়ম মেনে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে।’

এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিক্ষক সংগঠন আবুটা’র যাদবপুর চ্যাপ্টারও।