Pradhan Mantri Awas Yojana: বরাদ্দ বন্ধ হতে পারে! ঠেলায় পড়ে নামফলকে লেখা হচ্ছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’

রাজ্য় জুড়ে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প। কিন্তু বার বারই বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে ফেলে রাজ্য সরকার। এনিয়ে শাসক-বিরোধী টানাপোড়েন কিছু কম হয়নি। তবে এবার কিছুটা হলেও সুর নরম করল রাজ্য় সরকার।

সূত্রের খবর, পুর এলাকায় যে সরকারি আবাস তৈরি হচ্ছে হাউস ফর অল বা সবার জন্য় বাড়ি প্রকল্পে সেখানে বাড়ির ফলকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম সহ অন্যান্য বার্তা লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত যেটা বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামে কেন্দ্রীয় সরকারের সৌজন্য়ের কথা না লিখলে বরাদ্দ আটকে যেতে পারে। সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার। সেকারণে পুর এলাকায় এই প্রকল্পের আওতায় যে বাড়িগুলি তৈরি হচ্ছে সেখানে দ্রুত নাম লেখার ব্যাপারে বলা হয়েছে।

এদিকে এই নির্দেশ আসার পরেই দ্রুত ময়দানে নেমে পড়েছে সংশ্লিষ্ট পুরসভা। উত্তরবঙ্গর ইসলামপুর, ডালখোলা, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নতুন করে নাম লেখার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে অবধারিতভাবে এই প্রকল্প যে কেন্দ্রীয় সরকারের যোজনায় হয়েছে সেটা উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল আসতে পারে উত্তরের একাধিক জেলায়। সেখানে এসে যদি তাঁরা দেখেন যে রাজ্য সরকারের নাম লেখা রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সেক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হয়ে যেতে পারে। সেকারণেই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার, বলা ভালো সংশ্লিষ্ট পুরকর্তৃপক্ষ।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বার বারই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে বাজার গরম করার চেষ্টা করে তৃণমূল। আবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম নিজের বলে চালানোর চেষ্টাও চলে পুরোদমে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বাংলায় এসে হয়ে যায়, বাংলা আবাস যোজনা। এনিয়ে বার বারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরব হয়েছিলেন। তবে এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম কেন্দ্রীয় নামেই করার ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার।

এদিকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপরই জয়নগরের প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা সম্প্রতি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম কেন্দ্রীয় নামে লিখতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ওদের পার্টির লোগো কেন করব? কার্যত গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।