Suvendu Adhikari: ‘আমাকে হারাতে নন্দীগ্রামে মীনাক্ষীকে বলির পাঁঠা করেছে সিপিএমের বুড়ো নেতাগুলো’

হিন্দু ভোট কাটতে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড় করিয়েছিল সিপিএম। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতা লাগোয়া যাদবপুরে বিজেপির সভা থেকে এই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাম প্রভাবিত যাদবপুরে এদিন সিপিএম ও তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বোন মীনাক্ষী আপনি ২১ সালে আমার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়েছিলেন। কত ভোট পেয়েছেন? ৬২০০। বেচারি CPIM ১০০০ টাকা জমা দিয়েছিল সিকিউরিটি মানিতে। সেটা বোন মীনাক্ষী ফেরত পায়নি। ওই ভোটেও এই সিপিএম মমতাকে জেতানোর জন্য আমাকে হারানোর জন্য মীনাক্ষী ব্যানার্জিকে বলির পাঁঠা করেছিল। কারণ আমি যখন ১৪ সালে লোকসভায় দাঁড়ই তমলুকে আমার বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থী করেছিল ইব্রাহিম আলিকে। ১৬ সালে যখন দাঁড়াই বিধানসভায় CPI প্রার্থী করেছিল কবির মহম্মদ সাহেবকে। এবার যাতে ৬৫ হাজার মুসলমান ভোটের সবটা মুসলমান পায় আর আমার হিন্দু ভোট মীনাক্ষী কাটতে পারে তাই মীনাক্ষীকে নন্দীগ্রামে পাঠিয়েছিল এই বুড়ো সিপিএমের নেতাগুলো। এরা এখন আর ভোটে লড়ে না। এরা খুব চালান। আপনি সুজনদাকে জিজ্ঞাসা করলে বলবে, আমি লড়বে। এই ছেলেরা দাঁড়াক, লড়ুক। কারণ ওরা জানে সিকিউরিটি মানিটা রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যাবে।’

তৃণমূল বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ খারিজ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, মোদীজি না থাকলে কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য জেলে যেত? কখনও অনুব্রত আর তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল তিহাড়ের মাটিতে গড়াগড়ি খেত?

বামপন্থীদের শুভেন্দুর পরামর্শ, ‘ফাঁদে পা দেবেন না। ধূপগুড়িতেও আমরা চোরগুলোকে আটকে দিয়েছিলাম। ৪০০০ ভোটে আমরা আটকে গেলাম। ওখানে সংখ্যালঘু সব ভোট পেয়েছে তৃণমূল। আর সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন ১৩৮০০ ভোট। তার মধ্যে ১২০০০ ভোট হিন্দু, রাজবংশী, নমঃশূদ্রদের। ওই ভোটা কেটে চোর তৃণমূলকে জিতিয়ে দিয়েছে।’