প্রতিবেশীর মরদেহ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল নিজেরও

পটুয়াখালীর গলাচিপার বুড়াগৌরঙ্গ নদী থেকে মরদেহ আনতে গিয়ে নিখোঁজ আবদুল ছালাম খানের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজের ১০ ঘণ্টার পর বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় বুড়াগৌরঙ্গ নদীর পাঙ্গাশিয়া চরের মাথা থেকে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

নিহত আবদুল ছালাম খান চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরবিশ্বাস গ্রামের মৃত সায়েদ আলী খানের ছেলে। তিনি ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন।

জানা গেছে, দক্ষিণ চরবিশ্বাসের আবদুল ছালাম খানের প্রতিবেশী ঢাকায় মারা যান। তার মরদেহ আনতে তিনিসহ কয়েকজন একটি ছোট ট্রলারে করে মঙ্গলবার রাত ৯টায় দক্ষিণ চরবিশ্বাস থেকে রতনদী তালতলীর ইউনিয়নের বদনাতলী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পটুয়াখালী থেকে একটি বড় ট্রলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের টিসিবির মালামাল নিয়ে চরকাজল লঞ্চঘাট যাচ্ছিল। ঘটনাক্রমে আমগাছিয়া ডুবচরের কাছে মঙ্গলবার রাত ৯টার সময় দুই ট্রলারে মুখোমুখি ধাক্কায় আবদুল ছালাম খান ট্রলার থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। বুধবার সকাল ৬টায় আবদুল ছালাম খানের আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা জাল টেনে পাঙ্গাশিয়া চরের মাথা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে। 

টিসিবির পণ্যের ডিলারের প্রতিনিধি মাসুম মৃধা বলেন, আমাদের টিসিবির পণ্যসহ অন্য একটি যাত্রীবাহী ট্রলারের সঙ্গে কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনা ঘটে। এতে একজন নদীতে পড়ে যায় আজ সকালে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।

গলাচিপা থানা পুলিশে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আলম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। 



বাঁধন/সিইচা/সাএ