শীতে কাবু হাওরাঞ্চলের অসহায় মানুষ

শীতের প্রবল আবহে কাবু সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের অসহায় মানুষ। সারাদিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে চারপাশ। সেই সঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে মৃদু হিমেল বাতাস। 

রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডার প্রকোপ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। দিনে কুয়াশায় সূর্যের মুখ দেখা মিলছে না। যতই সময় বাড়ছে শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এই পরিস্থিতি আরও প্রকট হয়েছে। সরকারি বেসরকারি অফিসে কর্মজীবীরা এলেও কাজে কর্মে চলছে স্থবিরতা। 

রিকশা-ভ্যান চালক,দিনমজুর,কৃষি শ্রমিকরা পথে ও মাঠে নেমে সামান্য কাজ করেই শীতে কাবু হয়ে পড়ছে। হাসপাতালে বেড়েছে 
ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত শিশুরা সংখ্যা।

জেলার মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক রুহিন মিয়া জানান,এখন বোর ধানের চারা রোপন সময় কিন্তু কুয়াশা ও বাতাসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বোরো জমিতে চারারোপন করতেও পারছেন না শ্রমিকরা ফলে চারা রোপন কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। 

জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ বের হলেও কাজ না পেয়ে অনেকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। তাই কাজ ছেড়ে হাত গুটিয়ে একটু তাপের জন্য ছুটতে হচ্ছে আগুনের আঁচ পেতে।

রিকশা চালক আমিনুল ইসলাম জানান,শীতের তীব্র বেশী হওয়ার মানুষ জন বাসা থেকে বের হচ্ছে না। আর যাও পাই একবার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে গেলে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা হয়ে আগুনের তাপ লাগাতে হয়। তাই উপার্জন একবারেই কম। খুব কঠিন অবস্থা বিরাজ করছে।

ব্যবসায়ী সাদেক আলী জানিয়েছেন,শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তা-ঘাট,হাট-বাজার জনসমাগম স্থান গুলোতে লোকজনের উপস্থিতিও কম। 

বাবুল মিয়াসহ জেলার সচেতন মহল বলছেন,সামর্থ্যবানরা শীতবস্ত্র পড়ে,আগুন তাপিয়ে,ঘরে থেকে শীত থেকে বাঁচতে পারলেও হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ জন না পারছে শীত নিবারণ করতে,না পারছে খাবার সংগ্রহ করতে। ফলে দূর্বিষহ অবস্থায় শীত বস্ত্রের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে।  

হাওর বেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মির্জা রিয়াদ হাসান জানান,শীতের তীব্রতা বেড়েছে,ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অনেকেই ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।