Mamata reacts on Sandeshkhali attack: ৬ দিন পরে সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা, ৯ শব্দের উত্তরে এল না শাহজাহানের নাম

ছয়দিন পরে অবশেষে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যে ঘটনা নিয়ে রাজ্যে তুমুল রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে, তা নিয়ে ন’টির বেশি শব্দ খরচ করলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই একেবারে চোয়ালচাপা ভঙ্গিমায় মমতা বলে দেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। আমি কোনও মন্তব্য করব না (ম্যাটার ইজ আন্ডার ইনভেস্টিগেশন। আই ডোন্ট হ্যাভ এনি কমেন্ট)।’ সেইসঙ্গে সন্দেশখালি কাণ্ডের ‘নায়ক’ শেখ শাহজাহান নিয়েও কোনও শব্দ ব্যয় করেননি মমতা। পুরো ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী। যাঁর হাতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।

যদিও সন্দেশখালির ঘটনায় মমতা কোনও মন্তব্য করতে না চাওয়ায় একেবারেই অবাক নয় রাজনৈতিক মহল। কারণ সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর দল তৃণমূল কংগ্রেসের চূড়ান্ত মুখ পুড়েছে বলে ওই মহলের বক্তব্য। শুধু তাই নয়, ওই মহলের ব্যাখ্যা, প্রশাসনিকভাবেও অস্বস্তিতে পড়েছেন মমতা। কারণ সন্দেশখালিতে ইডির (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। যে এফআইআরের উপর বৃহস্পতিবারই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ঘটনার ছয়দিন পরেও ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গোপন ডেরা থেকে শাহজাহান অডিয়ো বার্তা পাঠানোর পরও তাঁর হদিশ পায়নি।

আকও পড়ুন: Sandeshkhali Attack: সন্দেশখালিতে রোহিঙ্গাদের ডেকে আনতে মায়ানমার গিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান, দাবি করল ইডি

আর সেই বিষয়টি নিয়ে মমতা সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা এখন সবথেকে বড় যে প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে, সেটা হল যে কীভাবে এই সরকার এখনও ক্ষমতায় আছে। ইডির উপর যে আক্রমণ হয়েছে, সেটা প্রত্যাশিত। কারণ কোনওকিছু যখন শেষের মুখে দাঁড়িযে থাকে, তখন এরকম ঘটনা হয়।’

যদিও পালটা তৃণমূলের নেতা শান্তনু সেন বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষই জানেন যে হেনস্থা করার জন্য কীভাবে অবিজেপি দলগুলির বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি যে কীভাবে গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্ররোচনা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। যখন পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, তখন তাঁরা সহযোগিতা করতে রাজি হননি। তৃণমূলের নাম খারাপ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আর রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই বলে প্রচার করার চেষ্টা করছে।’

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: পুলিশ এনকাউন্টার করে দিতে পারে, ED-র কাছে আত্মসমর্পণ করুন , শাহজাহানকে শুভেন্দু

সন্দেশখালিতে ঠিক কী হয়েছিল? রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে অভিযান চালাতে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে যায় ইডি। কিন্তু সেখানে আক্রমণের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। রীতিমতো তাণ্ডব চলে। আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা।