Ed raid at Tapas Roy house: তাপস রায়ের বাড়িতে ইডি, মানতে পারছেন না অধীর, কী বললেন সুদীপ?

সাত সকালে তাপস রায়ের বৌবাজারে বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমনই বেশ কিছু তথ্য ইডি হাতে এসেছে যার ভিত্তিতে বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হাজির হয়েছে ইডি।

কিন্তু এই ভাবে ‘স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি’র একজন নেতার বাড়িতে ইডির হানা, তা যেমন মানতে পারছেন তৃণমূলের অনেকেই তেমনি মানতে পারছেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। হঠাৎ সকালে এই খবর পেয়ে তিনি কিছুটা অবাকই।

কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন থেকে উঠে আসা তাপস রায় উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের মুখ। একদা সোমেন মিত্রের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তাপস রায়। উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একদা ছিলেন ছোড়দার কাছের লোক। পরে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করলে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। মাঝে কিছুদিন মন্ত্রী হলেও মূলত দলীয় কাজকর্মে তিনি করেছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর গায়ে কাদা লাগেনি। তা নিয়ে গর্বও ছিলও বরানগরের তিনবারের বিধায়ক তাপস রায়ের। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক আদায়-কাচকলায়। সেই সুদীপকেই তিনি কটাক্ষ করতে গিয়ে মাঝে বলেছিলেন ‘জেল খাটা আসামী’। মাঝে একটি চিট ফান্ড মামলায় বেশ কিছুদিন ভুবনেশ্বরের জেলে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা নিজের পক্ষে সাওয়াল করে বলেছিলেন, ‘আমার গায়ে কেউ কালি ছেটাতে পারেনি’। সেই তাপসের বাড়িতেই ইডি।

কংগ্রেস করার সূত্রেই তাপস রায়কে ভাল করেই চেনেন অধীর চৌধুরী। এই খবর শোনার পর অধীর চৌধুরী টিভি নাইনকে বলেন, ‘তাপস রায়কে এরকম চোরচোট্টা বলে আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। এখন চোরের কেউ সঙ্গে থাকলে কিছু তো করার নেই। চোরের সঙ্গে থাকতে গেলে চোরের বদনাম নিতে হবে। সঙ্গ দোষে কিছু হলে আলাদা কথা। কিন্তু তাপস রায়কে আমি যতটুকু জানি, উনি এরকম দুর্নীতি করার মধ্যে থাকার সম্ভাবনা কম।’

অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যরও তাপস রায়ের বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে কিছুটা কিন্তু কিন্তু ভাব রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ব্যক্তি তাপস রায়ের বিরুদ্ধে আগে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে উনি যুক্ত, যেভাবে অয়ন শীলের কাছে নথিতে নাম এসেছে মন্ত্রী নেতাদের, সেখানে তো তদন্ত দরকার।’

আবার অন্য দিকে যে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাপস রায়ের অম্লমধুর সম্পর্ক, সেই তিনি অবশ্য এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। স্বামীজির জন্মদিনে তাঁর জন্ম ভিটায় এসে সুদীপের মন্তব্য, ‘স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিবসে তাঁর জন্মভিটাতে এসেছি। এই অস্থির সমাজ ব্যবস্থা, দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে তাঁর দিকনির্দেশ আমাদের কাছে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি স্বামী বিবেকানন্দকে প্রণাম জানাতে এসেছি। দলের বিষয়ে মুখপাত্ররা বলবেন।’