National Youth Day 2024: স্বামীজির ১৬১তম জন্মদিবস পালন দেশজুড়ে, কেন দিনটি এত গুরুত্বপূর্ণ

বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় দিবস যুব দিবস পালিত হয় দেশজুড়ে। কিন্তু ঠিক কী তাৎপর্য রয়েছে যুব দিবসের? স্বামীজির জন্মদিনটিকেই বা কেন বেছে নেওয়া হয় যুব দিবস উদযাপনের জন্য? আসুন জেনে নেওয়া যাক সে সমস্ত কিছুই। প্রতিবছরের মত এ বছরও ১২ জানুয়ারি ভারতে যুব দিবস হিসেবে পালিত হবে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। ২০২৪ সালে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী দেশ জুড়ে মহা ধুমধামের সঙ্গেই পালিত হবে এই দিনটি।

১৯৮৪ সালে ভারত সরকার সর্বপ্রথম ১২ জানুয়ারিকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দেশের যুবকদের শাশ্বত শক্তি জোগান এবং তাদের অনুপ্রাণিত করার একটি দুর্দান্ত উপায় হিসেবে এই যুব দিবসটি উদযাপন হয় দেশজুড়ে। জাতির মেরুদণ্ড হিসাবেই যুবসমাজ সমাজ সেবায় এগিয়ে এলে তবেই এগিয়ে যাব আমরা, এই ভাবনাই ছিল স্বামীজি’র। ১৯৮৪ সালের পর থেকে প্রতিবছর তাই এই দিনটি সারা দেশ জুড়ে আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয় জাতীয় যুব দিবস হিসাবে।

স্বামী বিবেকানন্দ তরুণ সমাজের একাংশের কাছে আজকের সময়ও যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে হাজির। বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিকতাবাদের পথে নবজাগরণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্নকে পাথেয় করে আজও দেশের বেশ কিছু সংগঠন, সংস্থা এবং ব্যক্তিবর্গ স্বামীজিকে স্মরণ করে থাকেন। স্বামীজি বিশ্বাস করতেন, লোহার পেশি এবং ইস্পাতের স্নায়ু শিশুদের মধ্যে থাকে। তরুণরা সামাজিক পরিবর্তন আনতে পারে। স্বামী বিবেকানন্দকে এসকল কারণেই যুব সম্প্রদায়ের অনুপ্রেরনার প্রতীক হিসাবে দেখা হয়।

ভারতের প্রাচীন ধর্ম থেকে দর্শন, ইতিহাস পাঠ কিংবা সমাজবিজ্ঞান সকল ক্ষেত্রেই বিবেকানন্দের ছিল অবাদ বিচরণ। স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং পাশ্চাত্যের অগ্রগতির সঙ্গে ভারতের আধ্যাত্মিক সমন্বয়ে ঘটানো প্রয়োজন। তিনি বিশ্বাস করতেন এই দুটি ভাবনাই একে অপরের পরিপূরক। আজকে সমাজ অগ্রগতির প্রশ্নেরও তাই বিবেকানন্দকে স্মরণ না করে উপায় নেই। যুব দিবস উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সেমিনার, প্রতিযোগিতা, যোগাসন ইত্যাদি আয়োজন করা হয়েছে৷ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুব দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে দেশ এবং রাজ্যের বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতেও পালিত হবে যুব দিবস।