‘গাজায় ৪ হাজার বছর পুরনো সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে ইসরায়েল’

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘৪ হাজার বছর পুরনো সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে ইসরায়েল’। দেশটির সেনাবাহিনী ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে এসব সংস্কৃতি ও স্থাপনা ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি ইতিহাসবিদ জাঁ-পিয়ের ফিলিউ। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

গাজার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরে জাঁ-পিয়ের ফিলিউ বলেন, গাজার ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ। আফ্রিকা ও এশিয়ার সঙ্গে গাজার চার হাজার বছরের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তার সব চিহ্নই ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ দেখে ফরাসি ইতিহাসবিদ জাঁ-পিয়ের ফিলিউয়ের বলেন, গাজায় শতাব্দীর পর শতাব্দী যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মতো নয়। এ আগ্রাসনে গাজার ভিটে-মাটি ও হাজার বছরের ইতিহাস ধূলিসাৎ করে দিয়েছে ইসরায়েল।

গাজার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও স্থাপত্য ধ্বংসের নমুনা তুলে ধরে ইতিহাসবিদ জাঁ-পিয়ের ফিলিউ বলেন, গাজার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মসজিদ, গির্জা ও জাদুঘর ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। এসব কিছু ধ্বংস করে চোখের সামনে থেকে মানবতার স্মৃতি মুছে ফেলছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজার বৃহত্তম ও প্রাচীনতম ওমরি মসজিদ ধ্বংস করেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি এখন ধ্বংসস্তূপ। ইসরায়েলি হামলায় এমন অনেক মসজিদ ও গির্জাসহ শতাধিক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।

দুই হাজার বছরের পুরনো সেন্ট পরফিরাস চার্চ ধ্বংস করেছে ইসরায়েলিরা। পঞ্চম শতাব্দীতে তৈরি এ চার্চে আশ্রয় নিয়েছিলেন শত শত খ্রিষ্টান ফিলিস্তিনি নাগরিক। শুধু তাই না ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে গেছে বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীন রোমান কবরস্থান ও জাদুঘর কাসার আল বাশা।