NCHAC -তে কংগ্রেসের থেকে বেশি ভোট, তথ্য দিয়ে বাংলায় আসন ভাগ নিয়ে খোঁচা অভিষেকের

অসমে ১৩ তম নর্থ কাছার হিলস অটোনোমাস কাউন্সিল (NCHAC) ভোটে গেরুয়া ঝড়। ৩০ আসনের মধ্য পঁচিশটা পেয়েছে বিজেপি। এই নির্বাচনে শোচনীয় অবস্থা কংগ্রেসের।একটি আসনও জিততে পারেনি তারা। নর্থ কাছার হিলস ভোটে এবারই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। ভোটে একটি আসন জিততে না পারলেও উল্লেখযোগ্য ভাবে ভোটের হারে কংগ্রেসের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে আছে ঘাসফুল। সেই পরিসংখ্যান দিয়েই কংগ্রেসকে বাংলায় আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক্স-এ অভিষেক যে পরিসংখ্যান শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে ২২ আসনে লড়ে কংগ্রেস ৮.৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল ১১টি আসনে লড়ে ভোট ১২.৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এক্স পোস্টে অভিষেক লিখেছেন, প্রথমবার এনসিএইচএসি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সত্ত্বেও প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস তুলনায় বেশি ভোটে পেতে সক্ষম হয়েছে।

(পড়ুন। ‘চাঁদে দাগ থাকতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে নেই,’ অনুরাগকে বার্তা ববির) 

এর পরই তিনি লোকসভা নির্বাচনের বাংলা আসন ভাগের দাবি নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে লিখেছন, যারা নিজের বাড়ির পিছনের উঠোনকে বুঝতে পারেনি, তাদের আকাঙ্খা আকাশের তারা ছোঁয়ার।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগিতে প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি আসন ছাড়ার কথা বলেন। কিন্তু তাতে এখনও সম্মত হয়নি প্রদেশে কংগ্রেস নেতৃত্ব। অধীর চৌধুরীদের দাবি ছিল সাত থেকে আটটি আসন।

(পড়ুন। ‘খুন হতে পারি!’ শঙ্কা প্রকাশের পরদিনই নিরাপত্তা বাড়ল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের) 

এই পরস্থিতিতে রাজ্যের নেতাদের মত বুঝতে বাংলায় এসেছেন এআইসিসি প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে যে মত প্রকাশ করেছেন বাংলার নেতারা, তাতে তৃণমূলের সঙ্গে হাত ধরলে আত্মহত্যারই সামিল হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

এরই মধ্যে আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এনসিএইচএসি ভোট নিয়ে পোস্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গত ১৩তম NCHAC ভোট গত ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৮৫.৭৮ শতাংশ মানুষ ভোটদান করেন। ২৩১টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। মূলত দিমা হাসাও জেলার অন্তর্গত এই ভোট।