‘‌জিনা হারাম করে দেব’, প্রকাশ্য সভা থেকে আইএসএফ’‌কে হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের

আবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লা। দু’‌দিন আগে এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কর্মীর উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছিল আইএসএফ বলে অভিযোগ। তারই পাল্টা বিপ্লবী মতাদর্শ মাথায় নিয়ে জবাব দেওয়ার বার্তা দেন শওকত। আর তা নিয়েই রবিবার সকাল থেকে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ আইএসএফের সঙ্গে কোনও আপষ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক। তাই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন গরম বার্তা ভাঙড়ের পরিবেশকে তপ্ত করবে বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও ভাঙড় এখন কলকাতা পুলিশের অধীনে।

ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক?‌ দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে আসায় আইএসএফ নেতাদের উপর বেজায় চটেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। এই বিষয়ে শওকত মোল্লা বলেন, ‘গান্ধীবাদী মতাদর্শ হলে হবে না। বিপ্লবী মতাদর্শ হতে হবে। এই বিষয়টা মাথায় রেখেই চলতে হবে। যে ঘটনা আইএসএফের পক্ষ থেকে ঘটানো হয়েছে তাতে তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে। দু’‌দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কর্মী খুন হয়ে যেতেই পারত। তাই আমাদের ছেলেদের বলব দেউলিঅন এবং সারাঙ্গাবাদে আজ থেকে ওখানে যেন না যায়। আইএসএফ ওই এলাকায় ফিসারি ব্যবসা করছে। এই আইএসএফ যখন তখন ওখানে খুন করতে পারে’।

এদিকে ওই এলাকায় মাছ ধরার সময় কেউ না গেলেও পরে দলবল–সহ ওখানে ঘুরতে পারেন। আসলে একা পেয়ে আইএসএফ যেন আক্রমণ নামিয়ে আনতে না পারে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক শওকত মোল্লা সভা থেকে বলেছেন, ‘রাজনৈতিকভাবে আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে। সেই লড়াই করতে গিয়ে আমাদের যদি আরও দুটো খুন হতে হয় বা রক্ত ঝরে তাহলেও কোনওভাবে শত্রুর সঙ্গে এক ইঞ্চি কম্প্রোমাইজ করব না। ছেলেরা সব তৈরি তো। প্রশাসনের উপরে আমাদের আস্থা আছে। ওইদিন আমাদের দুই কর্মী মার্ডার হতে গিয়েও হয়নি। প্রশাসন যদি ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিতে পারে তাহলে এখানকার জনগণ ওদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে’।

আরও পড়ুন:‌ তৃণমূলের সঙ্গে জোট চাইছেন না প্রদেশ নেতারা, এআইসিসি’‌র পর্যবেক্ষককে রায় জানালেন

অন্যদিকে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক। তাতে আজ, রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। শওকত মোল্লা সরাসরি বলেন, ‘ওদের বাঁচাতে কেউ পারবে না ওই এলাকায়। জিনা হারাম করে দেব’। গত শুক্রবার এক নম্বর ব্লকের বদরা অঞ্চলের খরগাছি এলাকায় আইএসএফের দলীয় ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে আইএসএফ–তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে একটা সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় দু’‌জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে ধারালা অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছিল আইএসএফের বিরুদ্ধে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ভাঙড় থানার পুলিশ। ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস। তার আগে এমন হুঁশিয়ারি ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে।