ফেডারেশনগুলোকে তিন বছর সময় দিবেন পাপন

ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে ধনী ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। এখন পুরো দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রধান হয়েছেন। রবিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কার্যালয়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথম দিন পার করলেন। প্রথম দিনেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে তিন বছরের সময় ঠিক করে দিলেন তিনি।

দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার অফিস করেন পাপন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে পরে তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যান। সেখানে এই নবনির্বাচিত মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রায় ৫৪টি ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিরা। ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ফেডারেশনের কর্তাসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন ক্রীড়াঙ্গনের নতুন অভিভাবক।

তিনবারের নির্বাচিত প্রতিনিধি পাপন এবারই মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে জানিয়েছেন, সবগুলো ফেডারেশনের সঙ্গে আলাদাভাবে বসে তাদের কথা শুনবেন। সম্ভাব্য সব কিছু করবেন ফেডারেশনের জন্য। তবে তিন বছরের মধ্যে অগ্রগতি দেখাতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে প্রথমে সবগুলো ফেডারেশনের সঙ্গে আলাদাভাবে বসতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। সব খেলা তো আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাবে না। এমন অনেকগুলো ফেডারেশন আছে, যারা ইতোমধ্যে ভালো। তবে তাদের আর্থিক সমস্যা আছে। তারা আমার সঙ্গে বসে আমাকে একটা লক্ষ্য দেবে, বাজেট দেবে। আমি তিন বছর সময় দিবো তাদের যেন অগ্রগতি দেখতে পাই।’

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘তারা আমাকে পাঁচ-সাত-দশ বছরের লক্ষ্যমাত্রা দিতেই পারে। তাই বলে আমি এত সময় দেওয়ার পক্ষে না। তিন বছর পর যদি দেখি তারা ভালো করছে, লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাহলে সামনের দিকে ভাববো। লক্ষ্যপূরণ করতে না পারলেও যে অর্থ দেওয়া বন্ধ হবে তেমনটি নয়, তখন যারা উন্নতির দিকে যাচ্ছে সেদিকে বাড়তি নজর দিবো।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সাধারণত স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যস্ত থাকে। নতুন চেয়ারম্যান স্টেডিয়াম নির্মাণের চেয়ে মাঠকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, স্টেডিয়াম তো রয়েছে। কিন্তু মাঠ কোথায়? মাঠ না থাকলে মানুষ খেলবে কোথায়? তাই আমার কাছে স্টেডিয়ামের চেয়ে মাঠ বেশি প্রয়োজন।’