Child’s Gender: ছেলে নাকি মেয়ে হবে সেটার জন্য বউমা দায়ী নয়, কথা শোনান কেন? শ্বশুর-শাশুড়িদের বার্তা হাইকোর্টের

এমন একাধিক পরিবার রয়েছে যেখানে বাড়ির বউয়ের কন্যা সন্তান হলে তাদের নানাভাবে গঞ্জনা দেওয়া হয়। এবার এনিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণের কথা জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, যে সমস্ত বাবা মায়েরা বৌমাকে কথা শোনান যে তাদের বউমা কেন বংশধর রাখার মতো কাউকে জন্ম দিতে পারলেন না তাদের জেনে রাখা ভালো ছেলে না মেয়ে কী হবে সেটা নির্ভর করে স্বামীর ক্রোমোজোমের উপর। পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের।

এক মহিলাকে পণের দাবিতে অত্যাচার করা হত। তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই মহিলার উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। কেন ওই মহিলার দুটি মেয়ে হয়েছে সেই অপরাধে তার উপর অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। কেন অতিরিক্ত পণ দেওয়া হচ্ছে না সেই অভিযোগে ওই মহিলার উপর অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। 

তবে বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা জানিয়েছেন, কোনও বিবাহিতা মহিলার সম্মান কখনই তাঁর পরিবারের লোকজন কতটা যৌতুক দিলেন তার উপর নির্ভর  করে না। 

হাইকোর্ট জানিয়েছে, এটা খুব অস্বস্তির যে একজন বাবা মা তাঁদের মেয়ের ভালো চাইছেন। তাঁর সুখ চাইছেন। কিন্তু সেই মহিলাকে ভালোবাসার বদলে তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। তার উপর অত্যাচার করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার যৌতুকের উপর পরিবারের লোকজনের অতিরিক্ত লোভ।

বিচারপতি জানিয়েছেন, এই ধারাবাহিক অত্যাচারের জেরে সেই মহিলার যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। এমনকী তিনি যে দুটি মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন তাদের উপরেও যন্ত্রণা হতে থাকে। এমনকী ওই মেয়েদের জন্মের জন্য তিনি দায়ী বলে যখন দাগিয়ে দেওয়া হয় তখন সেই যন্ত্রণা আরও বাড়তে থাকে। 

কিন্তু জেনেটিক সায়েন্স বলছে,  যে শিশু জন্মায়নি সে ছেলে নাকি মেয়ে হবে সেটা নির্ভর করে  এক্স ও ওয়াই ক্রোমোজোমের উপর। মেয়েদের দুটি এক্স ক্রোমোজোম ও ছেলেদের ক্ষেত্রে একটি এক্স ক্রোমোজোম ও একটি ওয়াই ক্রোমোজোম।

বিচারপতি জানিয়েছেন, এই ধরনের মানুষদের শিক্ষিত হওয়া দরকার। এটা তাদের ছেলে দায়ী। বউমার ক্রোমোজোম এর জন্য দায়ী নয়।