‘Dead’ man gets alive after pothole miracle: তৈরি ছিল চিতার কাঠ, রাস্তার গাড্ডায় গাড়ি পড়তেই ‘বেঁচে’ উঠল ‘মৃত’ ব্যক্তি!

গর্তে গাড়ি পড়তেই ‘বেঁচে’ উঠলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি। এমনই দাবি করলেন হরিয়ানার এক বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, দর্শন সিং ব্রার নামে ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে দেন চিকিৎসকরা। শেষকৃত্যের জন্য কার্নালের কাছে বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছিল তাঁর দেহ। শেষকৃত্যের জন্য চিতার কাঠও আনা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাস্তায় একটি গর্তে গাড়ি পড়তেই হয় ‘মিরাকেল’। নড়ে ওঠে বৃদ্ধের হাত। ‘শুরু’ হয়ে যায় হার্টবিট। তারপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে ‘জীবিত’ বলে ঘোষণা করেন। আপাতত কার্নালের একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তবে শারীরিক অবস্থা বলে জটিল বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তাঁকে পাটিয়ালার একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। চারদিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসকরা জানান যে তাঁর হৃদস্পন্দন থেমে গিয়েছে। সেই খবর পাওয়ার পরেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন বৃদ্ধের পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা। শেষকৃত্যের জন্য যা যা প্রথা আছে, সেটা মেনে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। ততক্ষণে ‘মৃতদেহ’ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন বৃদ্ধের নাতি। 

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবার দাবি করেছে যে হরিয়ানার কাটিহালের একটি গ্রামের কাছে রাস্তার গর্তে পড়তেই গাড়িতে ঝাঁকুনি হয়। তারপরই তরুণ খেয়াল করেন যে তাঁর দাদুর হাত নড়ে উঠেছে। হতবাক হয়ে গিয়ে দাদুর হৃদস্পন্দন দেখতে যান। অনুভব করেন যে হৃদপিণ্ড ‘ফের’ চলতে শুরু করেছে। সেই পরিস্থিতিতে দ্রুত তিনি গাড়ির চালককে স্থানীয় কোনও হাসপাতালে যেতে বলেন। ওই হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা জানান যে সত্যিই হৃদস্পন্দন হচ্ছে। বেঁচে আছেন ৮০ বছরের দর্শন। চলছে শ্বাস-প্রশ্বাস। পরবর্তীতে তাঁকে বাড়ির কাছে একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: Serial Groom: টেন পাস, বিয়ে করাটাই পেশা! ডাক্তার, সিএ সহ ১৮ জনকে বিয়ে করে বোকা বানিয়েছে সুরেশ

পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘এটা মিরাকেল। আমরা আশা করছি যে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন দাদু।’ সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, দাদুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে যাঁরা সমবেদনা জানাতে এসেছিলেন, তাঁরা ‘মিরাকেল’-র বিষয়ে জানতে পেরেই অভিনন্দন জানাতে থাকেন। দাদুর শেষকৃত্যের জন্য যে খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল, সেটা অতিথিদের খেয়ে যেতে বলা যায়। যদিও বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা জটিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃদ্ধ কি সত্যিই মারা গিয়েছিলেন?

ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘বেঁচে ওঠার পরে’ বৃদ্ধকে প্রথম যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বৃদ্ধের যে মৃত্যু হয়েছিল, সেটা তারা হলফ করে বলতে পারবে না। কারণ তাদের হাসপাতালে যখন বৃদ্ধকে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর হৃদস্পন্দন ছিল। ফলে কোনও যান্ত্রিক কারণে ওই বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল নাকি অন্য কিছু ঘটেছিল, তা তাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: বেকার হলে বন্ধুত্বের আবেদনে সাড়া নয়, অথচ মহিলা হলেই পাল্টে যাচ্ছে সুর! WBCS অফিসারের কাণ্ডে হেসে খুন নেটপাড়া