Milind Deora leaves Congress: একদিন আগেই উড়িয়েছিলেন জল্পনা, রবিবার সকাল হতে না হতেই কংগ্রেস ছাড়লেন হেভিওয়েট নেতা

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা মিলিন্দ দেওরার ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে এরই মাঝে শনিবার তিনি জানিয়ে দেন, কংগ্রেস ছাড়ার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে রবিবার সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি বার্তা পোস্ট করে ‘৫৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্কে’ ইতি টানেন মিলিন্দ দেওরা। পোস্ট করে মিলিন্দ লেখেন, ‘আজ আমার রাজনৈতিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। আমি কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছি। কংগ্রেস পার্টির সাথে আমার পরিবারের ৫৫ বছরের সম্পর্ক শেষ করছি। বছরের পর বছর ধরে আমাকে অটল ভাবে সমর্থন করার জন্য আমি সমস্ত নেতা, সহকর্মী এবং কর্মকারদের কাছে কৃতজ্ঞ।’ (আরও পড়ুন: ‘দলের কর্মীদের জন্য আবারও চাকরির সুপারিশ করব…’, ইডি হানার পর বিস্ফোরক তাপস রায়)

এর আগে সম্প্রতি জল্পনা তৈরি হয়েছিল, কংগ্রেস ছেড়ে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনায় যোগ দিতে পারেন মিলিন্দ। অর্থাৎ, ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে তিনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে যোগ দিতে পারেন। তবে এই সব জল্পনা প্রসঙ্গে গতকালই মিলিন্দ বলেছিলেন, ‘এই সব সত্যি নয়।’ জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলাকালীন উদ্ধবপন্থী শিবসেনা দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা আসনটি চেয়েছিল। এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন মিলিন্দ দেওরা। এই আবহে তাঁর কংগ্রেস ত্যাগের জল্পনা শুরু হয়। এই আবহে প্রামিক ভাবে জল্পনা উড়িয়ে দিলেও মিলিন্দ ইঙ্গিতবহ ভাবে বলেন, ‘আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছি।’ উল্লেখ্য, মিলিন্দ দেওরা দক্ষিণ মুম্বই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ।

এর আগে কংগ্রেসে থাকাকালীনই দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে উদ্ধব শিবিরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল মিলিন্দের। এক ভিডিয়ো বার্তায় উদ্ধব সেনাকে সরাসরি তোপ দেগে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি আমাদের জোট সঙ্গীরা উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত না থাকেন, তাহলে আমার দলও একতরফা ভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে। সেই সময় মিলিন্দ জানিয়েছিলেন, আসন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা এখনও বাকি আছে। এই আবহে কোনও আসন নিয়েই কারও আগ বাড়িয়ে কোনও দাবি জানানো উচিত নয়। তবে শনিবার পর্যন্ত কংগ্রেসে থাকার কথা বলেও রবিবার সকাল সকাল দল ছাড়ার ঘোষণা করেন মিলিন্দ। মারাঠা রাজনীতিতে এই সিদ্ধান্তের বড় প্রভাব পড়তে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মিলিন্দ কোন দলে যোগ দেন, সেদিকেই নজর সবার। আর মিলিন্দ যে দলেই যোক দিন, তাঁর নজর যে দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা কেন্দ্রের ওপর, তাও স্পষ্ট সবার কাছে।