S Jaishankar on Maldives: ‘মাঝেমধ্য়ে ব্যাপারগুলি ঠিকঠাক যায় না,’ ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে মুখ খুললেন জয়শঙ্কর

মলদ্বীপ নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নাগপুর মন্থন টাউনহল মিটিংয়ে তিনি দর্শকদের প্রশ্নের জবাব দেন মলদ্বীপ প্রসঙ্গে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, এক দর্শক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা দেখছি মলদ্বীপ নিয়ে কিছু বিষয় উঠে আসছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘দেখুন পলিটিক্স ইস পলিটিক্স। আমরা এটা গ্যারান্টি দিতে পারি না যে রোজ প্রতিটি দেশ আমাদের সমর্থন করবে অথবা আমাদের কথায় একমত হবে। কখনও এটা ভালো না হতে পারে।’

‘আমরা চেষ্টা করি প্রতিবেশী আগে এই পলিসিতে চলি। ….কিন্তু সিরিয়াসলি আমরা চেষ্টা করছি গত ১০ বছর ধরে আমরা শক্তিশালী একটা সমণ্বয় তৈরির চেষ্টা করছি। যদিও পলিটিক্সের ওঠানামা থাকলেও সেই দেশের মানুষ, সেখানকার সমাজ সাধারণত ভারতের প্রতি তাঁদের ভালো অনুভূতি থাকে, তাঁরা বোঝেন ভালো সম্পর্ক রাখলে ভালোটা ঠিক কী হতে পারে!’

‘এবার প্রশ্ন এটা কীভাবে করলেন?  এটা বাস্তবিক ক্ষেত্রে রাস্তা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, জ্বালানি সরবরাহ, পর্যটক পাঠানো এগুলি আমরা করেই থাকি।এর মাধ্যমেও আমরা সম্পর্ক তৈরি করি। তবে মাঝেমধ্য়ে সম্পর্কগুলি ঠিকঠাক কাজ না করতে পারে, তখন আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যাতে বিষয়গুলি যাতে ঠিকঠাক হয় তার চেষ্টা করতে হবে।’

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে ‘মলদ্বীপ বনাম লাক্ষাদ্বীপ’ বিতর্ক। সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই মোদী এবং ভারতকে নিয়ে আপত্তিজনক কিছু মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী। এরপর থেকেই ওঠে মলদ্বীপ বয়কটের রব।

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। রবিবার তিনি একেবারে ভারতকে ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ মার্চের মধ্য়ে ভারতকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এদিকে গোটা ইস্যু সম্পর্কে আলোচনার জন্য মালেতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসেছিলেন।

মলদ্বীপ ছোট হতে পারে কিন্তু আমাদেরকে বকাঝকা করার মতো কোনও ছাড়পত্র কোনও দেশকে দেওয়া হয়নি। শনিবার মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজু সাংবাদিকদের কাছে একথা জানিয়েছেন। পাঁচ দিনের চিন সফর শেষ করে নিজের দেশে ফিরেই এইসব হুঙ্কার ছাড়ছেন তিনি।

তবে এবার কার্যত নাম না করে মলদ্বীপ নিয়ে ভারতের অবস্থান জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।