Bangladesh Visa: ভ্রমণ চুক্তিতে সংশোধন এনে দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত আরও সহজ করতে চায় বাংলাদেশ

ভ্রমণ চুক্তিতে সংশোধন এনে ভারতে যাতায়াতের নিময় আরও সহজ করতে চাইছে বাংলাদেশ। চুক্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। দু’দেশের নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে ফের ক্ষমতায় আসা হাসিনা সরকার।

প্রতিবছর কয়েক লক্ষ বাংলাদেশি ভারতে আসেন। এর একটা বড় অংশ আসেন চিকিৎসার জন্য। এই সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ চাইছে চেক পোস্ট দিয়ে দু’দেশের নাগরিকের যাতায়াতের সুবিধা দেওয়া হোক। সে কারণে চেকপোস্ট দিয়ে আসা-যাওয়ার সুবিধা-সহ ভিসা ইস্যু করা হোক।

তেমনই অনেকের প্রয়োজন হয় দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার। তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজনে বহুভ্রমণের সুবিধাসহ প্রয়োজনে হাসপাতাল পরিবর্তনের সুয়োগ রাখার বিষয়টিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, দু’দেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য ১৯৭২ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি ভ্রমণ চুক্তি হয়। সেই ভ্রমণ চুক্তিই পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে বর্তমানে কার্যকরী রয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী এক দেশ অপর দেশের নাগরিকদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিসা দিয়ে থাকে। ভিসার ধরন অনুযায়ী নাগরিকরা ভ্রমণ ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করেন। এই চুক্তি শেষ করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। সোমবার তার মেয়াদ শেষ হয়েছে।

পডুন। পূণ্যের লোভে হাড় কাঁপানো ঠান্ডাকে উপেক্ষা, কত মানুষ এলেন গঙ্গাসাগরে?

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বা ভারতীয়রা একে অন্যের দেশে ভ্রমণে জন্য যান সেই সময় ভিসায় উল্লেখ থাকে যে ভ্রমণকারী কোন চেকপোস্ট দিয়ে অন্য দেশে প্রবেশ করবেন বা ফিরে আসবেন। এতে অনেক সময় ভ্রমণকারীদের সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে যারা চিকিৎসার জন্য যান। এ জন্য এবারের চুক্তিতে ভিসায় ‘ডেজিগনেটেড চেকপোস্ট’ তুলে দিয়ে ‘থ্রু এনি চেকপোস্ট’ কথাটি বসানোর প্রস্তাব করবে বাংলাদেশ। যাতে পর্যটকরা যে কোনও চেকপোস্ট দিয়ে ফিরে আসতে পারেন।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক সাংবাদমাধ্যকে জানান, তাঁদের আশা এক মাসের মধ্যে নতুন ভ্রমণচুক্তিতে স্বাক্ষরিত হবে। সেজন্য বাংলাদেশের পক্ষে সুরক্ষা সেবা বিভাগ একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে। তাতে এই চুক্তি নিয়ে বিদেশমন্ত্রক, বাণিজ্যমন্ত্রক, তথ্য দফতরসহ বিভিন্ন বিভাগের মতামত এবং সুপারিশ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ভারতের যদি কোনও প্রস্তাব থাকে তবে তারাও বাংলাদেশের মতামত নেবে। দুপক্ষের মতামতের পরে চুক্তিটি পুনর্নবীকরণ (রিনিউ) করা হবে।