IndiGo Pilot Assault Latest Update: ইন্ডিগোর পাইলটকে ঘুষি মেরে গ্রেফতার, ভাইরাল হল ধৃত যাত্রীর ‘সরি’ বলা ভিডিয়ো

রবিবার কুয়াশার জন্য দিল্লিতে বিমান চলাচলে অনেক সমস্যা হয়েছিল। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল যাত্রীদের। এরই মাঝে ধৈর্য হারিয়ে সরাসরি বিমানের পাইলটকে ঘুষি মারার ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন এক যাত্রী। ইন্ডিগোর দিল্লি-গোয়া উড়ানে এই ঘটনাটি ঘটে। দীর্ঘক্ষণ বিলম্ব থাকার পর বিমানের পাইলট বদল হয়। তারপরে নতুন পাইলট এসে আরও এক দফায় উড়ান বিলম্বের ঘোষণা করেন। এরপরই বিমানের পিছন দিক থেকে উঠে এসে পাইটকে মেরে বসেন এক যাত্রী। পরে দেখা যায় ইন্ডিগোর অভিযোগের ভিত্তিতে সেই যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে আনেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। পরে দিল্লি পুলিশ নাকি সেই যাত্রীকে আটক করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃত যাত্রীর নাম সাহিল কাটারিয়া। (আরও পড়ুন: ১১ দিন পর খাল থেকে উদ্ধার হয় দেহ, হোটেল ঘরে কী ঘটেছিল মডেল দিব্যার সঙ্গে?)

আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রীদের ক্ষোভ ইন্ডিগোর ওপর, ক্ষমা চাইল উড়ান সংস্থা

এদিকে সাহিলের আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিমান থেকে সাহিলকে জওয়ানরা নামিয়ে আনছেন। সেই ভিডিয়ো রেকর্ড করা ব্যক্তির দিকে এগিয়ে আসেন সাহিল। তাঁকে সরি বলেন সাহিল। তবে ক্যামেরা হাতে থাকা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘নো সরি।’ এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আমরা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এদিকে সাহিল কাটারিয়াকে ইনডিগো ‘নো ফ্লাই’ লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে ইন্ডিগো। এদিকে যাত্রীর হাতে মার খাওয়া পাইলটের নাম অনুপ কুমার।

এদিকে পাইলটের মার খাওয়ার ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, হলুদ হুডি পরা এক যুবক ক্যাপ্টেনকে মারছেন। এদিকে বিমানসেবিকাকে এরপর সেই যাত্রীর ওপর চেঁচাতে দেখা যায়। বিমানসেবিকা বলতে থাকেন, ‘আপনি এটা করতে পারেন না।’ তখন সেই যাত্রী পালটা জবাব দেন, ‘আমরা এতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করে আছি। আমরা কি পাগল?’ সেই ক্ষুব্ধ যাত্রীকে পরে অন্য এক যাত্রী শান্ত করে সেখান থেকে নিয়ে যান। জানা যায়, সেই উড়ানটির টেকঅফের জন্য যাত্রীরা নাকি ১৩ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছিলেন। একাধিকবার এই উড়ানটির বিলম্ব ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক ভাবে যে পাইলট এই বিমানের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁর ডিউটির সময় শেষ হওয়ায় ছুটি হয়ে যায়। এরপর নতুন এক পাইলট আসেন। সেই পাইলটই আরও এক দফায় বিমানের দেরি হওয়ার ঘোষণা করছিলেন কেবিনে। সেই সময় পিছন থেকে উঠে এসে সেই যাত্রী পাইলটকে আক্রমণ করেন।

জানা গিয়েছে, এর আগে এই বিমানে যে পাইলট ছিলেন, তাঁর ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন’ বা এফডিটিএল শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী, বাধ্যতামূলক ভাবে বিমানচালকের ছুটি হয়ে যায়। পাইটদের মানসিক এবং শারীরিক ভাবে স্থিতিশীল রাখতে ডিজিসএ এই সময় বেঁধে দিয়েছে ডিউটির। এদিকে রবিবার দিল্লিতে পরিস্থিতি এমনই ছিল যে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদও বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ছিল মাত্র ২০০ মিটার। এর আগে ভোররাত ৩টে থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইতিমধ্যেই ৪০০টি উড়ান বিম্বিত হয়। এর মধ্যে আবার ২০টি উড়ান শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে হয়। এদিকে ১০টি উড়ান দিল্লির বদলে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লিগামী বহু বিমান দেরিতে ছাড়ায় কলকাতা বিমানবন্দরেও হাজার হাজার যাত্রী আটকে পড়েন। এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে এটাই ‘সবচেয়ে খারাপ দিন’ ছিল। উল্লেখ্য, রানওয়েতে দৃশ্যমানতা ১২৫ মিটারের নীচে হলে কোনও বিমানকেই টেকঅফের অনুমতি দেওয়া হয় না। এর জেরে পার্কিং বে, ট্যাক্সি ওয়ে-তে বিমানের ভিড় জমে যাওয়া স্বাভাবিক। লাউঞ্জে যাত্রীদের ভিড় জমে যাওয়া স্বাভাবিক। এমনকী বিমানে চেপে বসার পরও বহুক্ষণ অপেক্ষা করতে হতে পারে যাত্রীদের।