Narendra Modi: ৩২ বছর আগের জেদ! অযোধ্য়ায় ফিরে পূরণ করবেন মোদী, উপোসও করবেন

রামমন্দির তৈরি হওয়ার পরেই অযোধ্য়ায় আসব। ৩২ বছর আগে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর ২২ জানুয়ারি আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ওইদিন রামমন্দিরের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসবেন অযোধ্য়ায়।

আজ থেকে প্রায় ৩২ বছর আগে, অযোধ্য়ায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ১৪ জানুয়ারি ১৯৯২ সাল। শপথ নিয়েছিলেন তিনি সেদিনই ফিরবেন অযোধ্য়ায় যেদিন এখানে রামমন্দির হবে। আর এতদিন পরে সেই শপথ পূরণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জেদও পূরণ হচ্ছে এতদিন পরে।

সেদিন ঠিক ৩২ বছর আগে মোদী এলাকায় স্লোগান দিয়েছিলেন জয় শ্রীরাম। শ্রীরামের নামে জয়ধ্বনি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর শুরু হয় রামমন্দিরকে ঘিরে স্বপ্ন বোনার কাজ। সেদিন একটা অস্থায়ী তাঁবুতে তিনি রামচন্দ্রের পুজোও করেছিলেন। সেদিন মিডিয়ার সামনে তিনি জানিয়েছিলেন, সেদিনই তিনি ফের ফিরে আসবেন যেদিন রামচন্দ্রের মন্দির তৈরি হবে।

আর সেই ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণ আসন্ন। তবে ৫ অগস্ট ২০২০ সালে রামমন্দিরের জন্য় শিলান্য়াস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই জায়গাটি ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্মস্থান বলে মনে করা হয়।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায়ের কথা ঘোষণা করেছিল। সেদিন নির্দেশে বলা হয়েছিল ২.৭ একর জমি সরকারের তৈরি করা ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

এদিকে আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। তার আগে ১৬ জানুয়ারি থেকেই রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত যাবতীয় ধর্মীয় আচার আচরণ শুরু হয়ে যাবে।

এদিকে ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ১১দিন ধরে উপবাস রাখবেন মোদী। তার মধ্যে যম নিয়মের বিষয়টিও থাকছে। নানা ধরনের রীতিনীতি পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্য়ে রোজকার প্রার্থনা ও যোগ সাধনাও রয়েছে।

মোদী আগেই জানিয়েছিলেন, এটা একটা বড় দায়িত্ব। এটা আমাদের শাস্ত্রে বলা আছে যে ভগবানের পুুজো ও যজ্ঞের জন্য় আমাদের অন্তরের দৈবশক্তিকে জাগরিত করতে হয়। সেকারণে উপবাস ও কঠোর নিয়ম কানুনের কথা বলা রয়েছে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে এই কাজগুলো করতেই হবে। নাসিক থেকে তিনি এই কার্যক্রম শুরু করবেন। এখানে ভগবান রামচন্দ্র ও সীতা ও লক্ষ্ণণ একটা বড় সময় ছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।