স্ক্রু ঢিলে হয়ে গিয়েছে মদন মিত্রর, SSKMএর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল পরিবার

মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার SSKM হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের পরিবার। তাঁদের দাবি, SSKM হাসপাতালে মদন মিত্রের হাতে যে প্লেট বসানো হয়েছিল তার স্ক্রু খুলে গিয়েছে। সমস্যার সমাধানে SSKM-এ না নিয়ে গিয়ে মদনকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছে পরিবার।

গত কয়েক মাস ধরেই মদন মিত্রের শরীরটা ভালো নেই। ফেসবুকে আর দেখা যায় না তাঁকে। গত ৪ ডিসেম্বর বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে SSKM হাসপাতালে ভর্তি হন মদন মিত্র। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই গত ৮ ডিসেম্বর পড়ে গিয়ে বাম হাতের হাড় ভাঙে তাঁর। এর পর ভাঙা হাড়ে প্লেট বসান চিকিৎসকরা। গত ২৬ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তিনি। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার সময় বলেন, ‘ভালো নেই’।

পরিবারের দাবি, হাসপাতাল থেকে বাড়ি এলেও মদন মিত্রের হাতের যন্ত্রণা কমেনি। গত শুক্রবার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মদনকে নিয়ে যান পরিজনরা। সেখানে পরীক্ষা করে জানা যায়, মদনবাবুর হাতে বসানো প্লেটের স্ক্রু খুলে গিয়েছে। এমনকী হাতে আরও একটি হাড় ভাঙা থাকলেও সেটিকে জোড়েনি SSKM।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মদন মিত্র খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। উঠে বসা তো দূরে থাক তাঁকে কোলে করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। চিকিৎসায় গাফিলতির ব্যাপারে মদন মিত্রের প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর অনুগামীরা জানিয়েছেন, SSKM হাসপাতালে মদন মিত্রের অস্ত্রোপচারে ত্রুটি হওয়া দুর্ভাগ্যজনক।

তবে এই প্রথম নয়, গত নভেম্বরে SSKMএর বিরুদ্ধে তাঁর নিজের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার ইনফেকশনটা সেপটিক টাইপের হয়ে গিয়েছিল ভুল ট্রিটমেন্টের ফলে। সেজন্য হাতে স্যালাইন করে শিকার ভিতরে ওষুধ দিতে হয়েছে’। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তবে তাতে যে SSKM-এর স্বাস্থ্যোদ্ধার হয়নি তা মদনের পরিবারের ক্ষোভেই স্পষ্ট।