Iran launched attack in Pakistan: জয়শংকরের সফরের পরই পাকিস্তানে মিসাইল হামলা ইরানের, নিশানা জঙ্গিগোষ্ঠীকে- রিপোর্ট

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সফরের পরেই পাকিস্তানে আক্রমণ চালাল ইরান। সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে যে পাকিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও কোনওরকম ব্যাখ্যা ছাড়াই পরবর্তীতে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম থেকে সেই রিপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত আইআরএনএ নিউজ এজেন্সি এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলে দাবি করা হয়েছে যে ওই হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র (মিসাইল) এবং ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ইরানের সেই হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের বিভিন্ন সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে ইরাক এবং সিরিয়ায় ইরানের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ডের যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তার ঠিক পরদিনই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী জইশের দুটি ঘাঁটি নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ঠিক কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে, কোন কোন এলাকায় নিশানা করা হয়েছে, কতজন হতাহত হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ না করলেও ইরানের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে যে ‘মিসাইল এবং ড্রোন দিয়ে ওই ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। সেগুলি পুরো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: World’s most powerful military list: US-র মিলিটারি সবথেকে শক্তিধর, ভারত কোথায়? অধঃপতন পাকিস্তানের, উত্থান বাংলাদেশের

তবে ইরান যে পাকিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, সেটার সঙ্গে জয়শংকরের সফরের কোনও সম্পর্ক নেই বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ ইরানের সুরক্ষা বাহিনীর উপর একাধিকবার হামলা চালিয়েছে সুন্নি মুসলিমদের উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। অতীতে ইরান সীমান্তে একাধিক বোমা বিস্ফোরণ এবং ইরানের সীমান্ত পুলিশের একাধিক অফিসারকে অপহরণের দায় স্বীকার করেছে। যে গোষ্ঠীর জন্ম হয়েছে ২০১২ সালে। মূলত পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সেই জঙ্গিগোষ্ঠী সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম করে থাকে। 

আরও পড়ুন: India-Iran Meet: বিদ্রোহীরা জাহাজে কেন হামলা চালাচ্ছে? ইরানকে নালিশ করল ভারত

দীর্ঘদিন ধরেই সেই জইশ আল-আদলের বিরুদ্ধে লড়ছে ইরান। সেটা মাথায় রাখলেও পাকিস্তানের মাটিতে ইরানের মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালানোর বিষয়টি অভাবনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানে যদি ইরান সত্যিই হামলা চালিয়ে থাকে, তাহলে দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকবে। এমনিতে দু’দেশই দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে সন্দেহের চোখে দেখে এলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। যদিও মিসাইল হামলা নিয়ে ইরান বা পাকিস্তানের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।