Mamata Banerjee on Ram Mandir Inauguration:রামমন্দির উদ্বোধনের দিন মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার ঘুরে সংহতি মিছিলের ডাক মমতার

অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন তৃণমূলের সংহতি মিছিলের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ জানুয়ারি কালীঘাট মন্দির থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্দির-মসজিদ-গুরুদ্বার ঘুরে হবে সর্বধর্ম সমন্বয় মিছিল জানালেন মমতা। একই সঙ্গে ব্লকে ব্লকেও ওদিন মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

একনজরে দেখা নেওয়া যাক মমতা কী কী কর্মসূচি ঘোষণা করলেন

১) অনেকেই আমাকে বিভিন্ন মন্দির সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন, কিন্তু আমার কিছু বলার নেই। আমি সব সময় বলে এসেছি, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ 

২) আমি ২২জানুয়ারি একটি মিছিল করব। এটি কালীঘাট মন্দির থেকে শুরু হবে, যেখানে কেবল আমি মা কালীর কাছে প্রার্থনা করতে যাব। এরপর আমরা হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত একটি সর্বধর্ম সমন্বয় মিছিল করব এবং সেখানে একটি সভা করব। পথে মসজিদ, মন্দির, গির্জা এবং গুরুদ্বারগুলি ঘুরে মিছিল যাবে। এই মিছিলে যোগদানের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। এই মিছিলে সব ধর্মের মানুষ থাকবেন

৩) একই দিনে আমার দলের সদস্যরা প্রতিটি ব্লকে, প্রতিটি জেলায় বিকেল ৩টেতে সমাবেশ করবেন।

৪) ২০ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ক্যাম্প করব যেখানে আমাদের তিনজন কর্মী উপস্থিত থাকবেন। মানুষ যদি আমাদের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা না পেয়ে থাকেন, তবে তাঁরা তাঁদের নাম এই ক্যাম্পে নথিভুক্ত করবেন। এটি ‘জন সংযোগ ’কর্মসূচির ব্যানারে হবে।

তবে মমতা জানিয়েছেন, এটা কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি নয়। তাঁর মতে মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সাধুসন্তদের কাজ। তাঁর কথায়, ‘আমি সাধুসন্তদের সম্মান করি। তাঁরা কী বলছেন আমি শুনছি।’ প্রসঙ্গত, অব্রাহ্মণের হাতে রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে পুরী ও উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্যেরা নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

এই মিছিলে দলের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রসঙ্গে তিনি বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, ‘এটার নাম হবে সম্প্রীতি মিছিল। বিজেপি বলে যাচ্ছে চোর। ওরাই সব চেয়ে বেশি চোর। বড়ো বড়ো গুন্ডা, ক্রিমনাল এজেন্সি এর আশ্রয়ে বসে আছেন। দেখুন আমার পাঁচটা আঙুলের মধ্যে একটা আঙুল কেটে যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য সবাই খারাপ নয়।’