Netai Firing case: নেতাই গণহত্যা মামলায় জামিন পেলেন অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাট

২০১১ সালে নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের। সেই মামলায় তাকে জামিল দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার মামলা ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রথীন দণ্ডপাটের জামিন মঞ্জুর করে ডিভিশন বেঞ্চ। 

আরও পড়ুন: নেতাই গণহত্যা মামলায় ৮ বছর পর কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেলেন চণ্ডীচরণ

এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। সেই সময় লালগড়ের নেতাইয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জন গ্রামবাসীর। এছাড়াও জখম হয়েছিলেন কমপক্ষে ২৮ জন। জানা যায়, এই গ্রামবাসীরা সেই সময় পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিলে নেমেছিলেন। সেই কারণে তাদের উপর গুলি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেই গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আরও অভিযোগ, সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে সেই গুলি চালানো হয়েছিল। সেই সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। ১৩ বছর আগেকার এই হত্যা মামলায় প্রথমে তদন্ত করে সিআইডি। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেয়। ঘটনায় সিপিএমের ২০জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাতে রথীন দণ্ডপাট ছাড়াও ছিলেন সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে, ফুল্লরা মণ্ডল, ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে সহ অন্যান্য নেতারা।

বছর খানেক এই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন একমাত্র মহিলা অভিযুক্ত ফুল্লরা। গত ফেব্রুয়ারিতে জামিন পেয়েছিলেন ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে। তবে সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে মামলাকারী। তার অভিযোগ, এই মামলায় ১১৬ জনের সাক্ষী নেওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ বাকি রয়েছে। মানলাকারীদের প্রশ্ন, সে ক্ষেত্রে সিবিআই রাজনৈতিক মামলায় সক্রিয় অথচ এত বছর পরেও নেতাইয়ের শহীদ পরিবারগুলি কেন বিচার পাচ্ছে না? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে নেতাইয়ে গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। তারপর থেকে এই দিনটিকে নেতাই দিবস হিসেবে পালন করে এখানে শহিদ বেদীতে মাল্যদান করা হয়। ১২ বছর ধরে এই উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে আসছে নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি। প্রতিবছর তা ঘিরেও রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে।