পাত্রের পাত্রী খোঁজার দায়িত্ব নেন মহিলা ঘটক, বালুরঘাটে যুবকের সঙ্গে ভাগলবা বধূ

মহিলা ঘটক দায়িত্ব পান পাত্রের পাত্রী খোঁজার। নানা পাত্রী দেখালেও পছন্দ হয়নি ওই যুবকের। কারণ ওই যুবকের মনে তখন বাসা বেঁধেছে লাস্যময়ী বধূ। ওই গৃহবধূর বয়সও অল্প। দেখতেও বেশ সুন্দরী। তাই যুবকের বধূ ঘটককেই পছন্দ হয়ে যায়। সে কথা সাহস করে একদিন বধূ ঘটককে বলেই ফেলেন যুবক। শুরু হয় দু’‌জনের প্রেম। পাত্রী তো সে নিজেই। তাহলে আবার আলাদা করে খোঁজার কি দরকার!‌ এবার সেই যুবককে নিয়েই বধূ ঘটক ভাগলবা হয়েছেন বলেই খবর। ইতিমধ্যেই দু’জনে বিয়ে সেরেছেন বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু যুবকের বাড়িতে তুমুল ঝামেলা চলছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

বালুরঘাট থানা সূত্রে খবর, দু’জনই প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছেয় বিয়ে করতেই পারেন। বাড়ি ছাড়তেও পারেন। যদিও দু’জনকেই দুই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দুই পরিবারই বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হয়। আপাতত বিবাদ মিটিয়ে বধূকে বাড়ি নিয়ে যায় পরিবার। এই বিষয়ে যুবকের পিসি বলেন, ‘‌আমার সঙ্গেই ওই বধূর প্রথম পরিচয় ঘটে। ভাইপোর বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে দিতে বলি। আমি ভাইপোর ফোন নম্বর দিয়েছিলাম। কয়েকটি মেয়ের খোঁজ দেয়। কিন্তু পছন্দ হয়নি একটাও। কিন্তু আমার ভাইপোর সঙ্গে প্রেম করে পালিয়ে যাবে সেটা ভাবতে পারিনি।’‌

এদিকে একে অন্যকে ছেড়ে থাকতে নারাজ। এই জটিল আবহে ঘটক বধূর বাবা বলেন, ‘‌আমার মেয়ে পেশাগত ঘটক নয়। হয়তো মেয়ে খুঁজে দেবে বলেছিল। আমার মেয়ে ও জামাই–সহ আমরা একই বাড়িতে থাকি। কেমন করে ওই যুবকের সঙ্গে প্রেম ঘটল সেটা জানি না। মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যেতে থানায় এসেছি। আমার জামাইও মেয়েকে নিতে রাজি আছে।’‌ পরিবার সূত্রে খবর, যুবকের বাড়ি বালুরঘাটে। পেশায় রাজমিস্ত্রি। কিন্তু ওই গৃহবধূকেই পরিচয় হওয়ার দিন থেকে ভাল লেগে যায়।

আরও পড়ুন:‌ সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চান না শাহজাহান, কলকাতা হাইকোর্টে ভোলবদল আইনজীবীর

অন্যদিকে লাস্যময়ী, সুন্দরী এবং অল্প বয়সি বধূর বাড়ি পতিরামে। তাঁর স্বামী ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। বালুরঘাট শহরেই ভাড়া থাকেন। বধূই যুবকের জন্য পাত্রী খুঁজতে গিয়ে পাত্রী হয়ে যান। যুবকের ফোন নম্বর হাতে পেয়ে যোগাযোগ করেন। পাত্রীও খুঁজে দেন। কিন্তু যুবকের পছন্দ হয় ওই বধূকে। মাঝেমধ্যে দেখা করেন যুবক। দু’জনের মধ্যে জমে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরিকল্পনা করেই বাড়ি থেকে পালান তাঁরা। দুই পরিবারের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হলে থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। পুলিশ ওই দু’জনকে থানায় নিয়ে এলেও পরে দু’জনকেই ছেড়ে দেয়। এখন যুবকের হাল—বধূয়া আমার চোখে জল এসেছে হায়,,,,,‌।