যৌন হেনস্থার অভিযোগে অপসারিত IIM কলকাতার ডিরেক্টর-ইন-চার্জ সহদেব সরকার, পদে আসলেন কে?

দুই দিন আগেই খবরে এসেছিল যে, তাঁর সঙ্গে বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের মতবিরোধের জেরে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। এবার আইআইএমসির ডিরেক্টর সহদেব সরকারকে অপসারণের খবর এল। আইআইএম-কলকাতার ডিরেক্টর সহদেব সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের জেরে তাঁকে অপসারিত করেছে প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট কলকাতা’র ডিরেক্টর ইন-চার্জ পদে ছিলেন সহদেব সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানের তরফে তাঁকে ঘিরে অক বিবৃতি জারি হয়।

মঙ্গলবারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি বা আইসিসির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর ইনচার্জ সহদেব সরকারকে অপসারণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে সিনিয়র অধ্যাপক শৈবাল চট্টোপাধ্যায়কে পরবর্তী ডিরেক্টর ইন চার্জ পদে আসীন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে, প্রতিষ্ঠানে বোর্ড অফ গভর্নরের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গত ৩ বছরে পদ ছেড়েছেন অনেকেই। এর আগে জানা যায়,  বোর্ড অফ গভর্নরের কিছু সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন সহদেব সরকার। এর আগে উত্তম কুমার সরকার প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তিনি ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত বছরের অগস্টে পদত্যাগ করেছিলেন। পরে গতবছরের নভেম্বরে ওই পদে বসেন সহদেব সরকার। এদিকে, সহদেব সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে যৌন হেনস্থার মতো বড়সড় অভিযোগ। আইআইমসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্থা (প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা, প্রতিকার ) আইন ২০১৩, পশ অ্যাক্টের অধীনে তৎকালীন ডিরেক্টর ইন চার্জ সহদেব সরকারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছে।’ প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে, কমিটি নিশ্চিত করেছে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তের প্রয়োজন। তদন্তের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয়। আইআইএম- কলকাতার বোর্ড অফ গভর্নর ৬ জানুয়ারি ২০২৪-এ একটি বিশেষ সভা করেছে এবং অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করেছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, অধ্যাপক সহদেব সরকার আর ডিরেক্টর ইন চার্জ পদে কাজ করতে পারবেন না। তাঁকে উল্লিখিত ওই পদ ও প্রতিষ্ঠানের যে কোনও রকমের পদ থেকে সরে যেতে হবে।

উল্লেখ্য, সহদেব সরকারের আগে এই পদে ছিলেন উত্তম কুমার সরকার। তিনি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদের মধ্যে মাত্র ২ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিলেন। ২০২৩ সালের অগস্টে তিনি পদ থেকে সরে যান। তারও আগে ছিলেন ডিরেক্টর অঞ্জু শেঠ। তিনি তাঁর ৫ বছরের মেয়াদের মধ্যে চতুর্থ বছরেই পদ থেকে সরে যান।