R Praggnanandhaa: কিংবদন্তি বিশ্বনাথ আনন্দকে টেক্কা, দেশের ১ নম্বর দাবাড়ু আর প্রজ্ঞাননন্দ

<p><strong>নয়াদিল্লি:</strong> দাবায় ভারতীয়দের মধ্যে ক্রমতালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন আর প্রজ্ঞাননন্দ। তিনি টেক্কা দিলেন কিংবদন্তি দাবাড়ু বিশ্বনাথ আনন্দকে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে হারিয়ে দেশের এক নম্বর দাবাড়ু হয়ে গেলেন এই কিশোর। &nbsp;নেদারল্যান্ডসের উইক আন জি-তে টাটা স্টিল মাস্টার্সে ডিংকে হারিয়ে দেন প্রজ্ঞাননন্দ। উল্লেখ্য, রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দর ফিডে রেটিং পয়েন্ট ২৭৪৮.৩। আর বিশ্বনাথন আনন্দের ফিডে রেটিং পয়েন্ট ২৭৪৮। ব্যবধান অল্প হলেও, এই মুহূর্তে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে টেক্কা দিয়ে ভারতীয় দাবাড়ুদের ক্রমতালিকায় শীর্ষেই রয়েছেন প্রজ্ঞাননন্দ।&nbsp;</p>
<p>ম্যাচের পর &nbsp;Chess.com কে প্রজ্ঞাননন্দ বলছেন, ”আমি ভেবেছিলাম আমি খুব সহজেই ম্যাচটা ড্র করতে পারব। তবে তারপরে সে কিছু ভুল করতে শুরু করে, যেটার আশাও আমি করিনি।” প্রথমবারের জন্য দেশের এক নম্বর দাবাড়ু হয়ে এই তরুণ আরও বলেন, ”আমি মনে করি যে কোনও দিনে, আপনি যদি এমন একজন শক্তিশালী খেলোয়াড়কে হারান, তবে তা সবসময়ই বিশেষ হয়ে থাকে। কারণ তাকে হারানো খুব সহজ নয়। ক্লাসিকাল দাবায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে এটি আমার প্রথম জয়। এই জয় পেয়ে আমার ভালো লাগছে।”</p>
<p>১৮ বছরের এই তরুণ গ্র্যান্ডমাস্টার আরও বলেন, ”এটা ভালো। আমার মনে হয় প্রথম তিনটি খেলা বেশ আকর্ষণীয় ছিল। আমি মনে করি আমি ভালো খেলছি কিন্তু গত বছরও একই ছিল। একটা সময় ছিল যখন আমি সত্যিই ভালো খেলেছিলাম এবং এরপরও পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি মনে করি এখনও পর্যন্ত সবটা ভালোভাবে চলছে। তবে টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত এটাকে ধরে রাখতে হবে যেটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।”</p>
<p>উল্লেখ্য, দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই করে শেষে টাইব্রেকারে পরাস্ত হন।&nbsp;মাত্র ১৮ বছর বয়সেই প্রজ্ঞাননন্দের একাগ্রতা দেখে মুগ্ধ দাবা বিশ্ব। মনঃসংযোগ বাড়ানোর মন্ত্র কী? কয়েক মাস আগে কলকাতায় এসে এবিপি লাইভের প্রশ্নে প্রজ্ঞাননন্দ বলেছিলেন, ‘বিশেষ কিছু করি না। ম্যাচের সময় মনঃসংযোগ খুব বেশি থাকে। তবে অন্যসময় বেশ অন্যমনস্ক থাকি। মনঃসংযোগ বাড়াতে যোগাভ্যাস ও ধ্যান করি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ”ম্য়াচের আগে প্রতিপক্ষের খেলা বিশ্লেষণ করে প্রস্তুতি নিই। মানসিকভাবে তরতাজা থাকতে চাই। দাবা খুব কঠিন খেলা। তাই মনের দিক থেকে ফুরফুরে থাকতে হয়। দাবা বিশ্বকাপে শেষের দিকে মানসিকভাবে দারুণ জায়গায় ছিলাম না।”</p>