Sukanta vs Mamata: সর্বধর্মের মিছিলের নাম করে তৃণমূল বাবরের লোকেদের নিয়ে দাপাদাপি করবে: সুকান্ত

তৃণমূল কংগ্রেসের সংহতি মিছিলের পিছানোর দাবি এবং রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের শুভেন্দু অধিকারীর করা জনস্বার্থ মামলা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, এই পদক্ষেপ অত্যন্ত স্বাভাবিক। হিন্দু সমাজ সেই দিন প্রতিটা জায়গায় রামের আরাধনা করবে। যেখানে যা মন্দির আছে আরাধনা করবে। সেই দিন তৃণমূল সর্বধর্মের মিছিলের নাম করে বাবরের লোকেদের নিয়ে দাপাদাপি করবে। মুখ্যমন্ত্রী এই মিছিলের মাধ্যমে হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদি তা হয়, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং হিন্দু সমাজ একত্রিত হয়ে প্রতিঘাত করবে। তাই আদালতে উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দুরভিসন্ধিকে বন্ধ করে দেওয়া। অনেক স্পর্শকাতর জায়গা আছে হিন্দুরা সংখ্যায় কম সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত।

দিল্লিতে মহুয়া মৈত্র সরকারি বাসভবন ছাড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি বলেন, যদি কোনও সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়, সে যদি সাংসদ না থাকে তাহলে তার বাসভবন খালি করে দেয়া উচিত সেটাই নৈতিকতা, সেটাই সততা।

হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ক্যামেরা বসানোর প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় নাটক করছে।

মঙ্গলবার নবান্ন থেকে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন পালটা কর্মসূচি ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারা আমাকে বারবার জিজ্ঞাসা করছেন বিভিন্ন মন্দির নিয়ে। আমি বার বার বলেছি ধর্ম যার যার আপনার, উৎসব কিন্তু সবার। ২২ জানুয়ারি আমি নিজে দলীয় ভাবে একটা ব়্যালি করব। আমি প্রথমে নিজে কালী মন্দিরে যাব। ওটা সবাই যাবে না। আমি মা কালীকে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে সর্বধর্মের মানুষকে নিয়ে মিছিল করে পার্ক সার্কাস ময়দানে গিয়ে আমরা একটা মিটিং করব। মা কালীকে ছুঁয়ে, মন্দির – মসজিদ – গুরুদ্বার, ওখানে অনেক গীর্জাও আছে সব কিছুকে ছুঁয়ে সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে আমরা একটা ব়্যালি করব। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিছিলটা করব। শুভানুধ্যায়ীরা আসতে পারেন সংহতি মিছিলে। এছাড়া প্রতিটা জেলায় ব্লকে ব্লকে ২২ জানুয়ারি বেলা ৩টায় সম্প্রীতি মিছিল হবে সবাইকে নিয়ে’।