Janasanjog program: শুরু হচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি,জেনে নিন কোন ২০ পরিষেবা মিলবে

গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচির সুবিধা প্রতিটা গ্রামে পৌঁছে দিতে নির্দেশিকা পাঠানো হল জেলাগুলিকে। এই জনসংযোগ কর্মসূচি থেকে তিনি ২০ টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে বলে জানা গিয়েছে। 

নিউজ ১৮ বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী জাতিগত শংসাপত্র, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, স্বাস্থ্যসাথী,কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, বার্ধক্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু-সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে এই কর্মসূচিতে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এমনিতে এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়া যায়। তবু কেউ যাতে প্রকল্পের আওতার বাইরে না থাকেন তার জন্য গ্রামে গ্রামে নিবিড় জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেওয়া হবে।

পডুন। অভিষেকের দেওয়া কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, ধূপগুড়ি হল মহকুমা

নির্দেশিকা জারি করে এই কর্মসূচির জন্য শনিবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জনসংযোগ কর্মসূচি চলাকালীন কেউ ছুটি নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। 

বুধবার এক নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই জনসংযোগ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ২০ তারিখ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত বুথে তিন জন করে আধিকারিক বসবেন। সাধারণ মানুষ তাঁদের কাছে শংসাপত্র নিয়ে সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ রেশন সংক্রান্ত সমস্যা, কৃষক ভাতা সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে জানানোর জন্যও এই কেন্দ্রগুলিতে নাম লেখানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি নাম লেখাতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিকরাও।’

এর আগে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ভাল সাফল্য পেয়েছে। তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পিছনে এই কর্মসূচির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে বলে ভোট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি আরও মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবে। সে কারণে সরকার এই কর্মসূচিতে আরও জোর দিচ্ছে। 

এই কর্মসূচি অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে তিনজন করে আধিকারিক ক্যাম্প করবেন। সেই ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ এসে ২০টি প্রকল্পের নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।  এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে রাজ্য সরকার। সে কারণে আধিকারিকদের ছুটি বাতিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।