শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও রাতে বাড়বে শীত

কেটেছে বৃষ্টির আশঙ্কা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলেছে সূর্যের। দেশের কোথাও নেই শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিসও বলছে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। তবে রাতের তাপমাত্রা কমে পড়বে কনকনে শীত। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত পড়বে কুয়াশাও।

আবহাওয়া অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য দেয়া পূর্বাভাসে এমনটা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী তিন দিনে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ থাকছে না।

কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়েছে, তিনদিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী-অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে।
 
তাপমাত্রার বিষয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।

পরের ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তিন দিনের শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
 
তবে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দেখছে অধিদফতর। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ফলে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। হাড় কাঁপোনো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। আবার বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়।

একদিকে শীত অন্যদিকে বৃষ্টি বিপাকে ফেলেছে মানুষকে। বিশেষ করে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন কৃষকরা। বৃষ্টি শঙ্কা কেটে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরলেও কয়েক দিন পর বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।  



বাঁধন/সিইচা/সাএ