Gujarat Boat Tragedy: গুজরাটে নৌকাডুবি, লাইফ জ্যাকেটের বালাই নেই, নৌকায় গাদাগাদি ভিড়

ভয়াবহ নৌকাডুবি গুজরাটে। সেই সঙ্গে উদ্ধারকাজে একের পর এক গাফিলতি সামনে আসছে। 

গুজরাটের ভদোদরা শহরের উপকণ্ঠে হারনি হ্রদে নৌকাডুবিতে ১২ জন পড়ুয়া ও দুই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকায় থাকা ২৯ জনের একটি বৃহত্তর দলের অংশ ছিলেন বলে খবর।

১৪জন যাত্রী নিয়ে যেতে পারে ওই নৌকাটি। কিন্তু তাতে প্রায় দ্বিগুণ যাত্রী বোঝাই ছিল। লাইফ জ্যাকেটের মতো প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামের অনুপস্থিতি এবং উদ্ধার অভিযানের জন্য মনোনীত কর্মীদের অভাব  ছিল বলে অভিযোগ। এদিকে যেখানে নৌকাডুবিটা হয়েছে সেটা  জনপ্রিয় বিনোদনমূলক স্থান বলে পরিচিত।

বিশিষ্ট সমাজকর্মী অতুল গামেচি এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, সুরক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন ত্রুটির অভিযোগ করেছেন তিনি।

এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ভদোদরা শহরের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নৌকাটির ধারণক্ষমতা ছিল ১৪ জন; তবে তাতে ২৭ জনকে বসানো হয়। আদর্শভাবে, নৌকায় দু’জন উদ্ধারকারী থাকা উচিত ছিল, তবে তারা উপস্থিত ছিলেন না। লাইফ জ্যাকেটও দেওয়া হয়নি। এখানে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। গামেচি বলেন, ভদোদরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং ঠিকাদাররাও দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ।

গুজরাট সরকার এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং ভদোদরার জেলা কালেক্টরকে ১০ দিনের মধ্যে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই তদন্তের লক্ষ্য ট্র্যাজেডির কারণ এবং পরিস্থিতি চিহ্নিত করা, সম্ভাব্য অবহেলা মূল্যায়ন করা এবং ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী হবে।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুন) এবং ৩০৮ (অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা) ধারায় এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করা হয়েছে এবং এই মামলায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি সাংবাদিকদের বলেছেন, এই ঘটনার জন্য দায়ী  ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার জন্য টিম গঠন করা হয়েছে এবং কী কারণে এই ট্র্যাজেডি ঘটেছে তা নির্ধারণের জন্য একটি বিস্তৃত তদন্ত চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “ভদোদরার হরনি হ্রদে একটি নৌকা ডুবে প্রাণহানির ঘটনায় মর্মাহত। এই শোকের মুহূর্তে শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির সঙ্গে আমিও সমান উদ্বিগ্ন। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পিএমএনআরএফ থেকে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।