Hooghly DPSC: পরিচ্ছন্নভাবে কাজ! বিচারপতির কাছে ‘ক’ পেলেন হুগলি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। নানা সময়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের মাথাদের একেবারে চরমভাবে ভর্ৎসনা করেছেন। আবার ভালো কাজের প্রশংসাও করেছেন। তবে এবার হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন তথা তৃণমূলের নেত্রী শিল্পা নন্দীর প্রশংসা করেছেন বিচারপতি। 

আসলে মৃত্যুর পরে নিয়োগপত্র পাওয়া নিয়ে কার্যত রাজ্যজুড়েই তোলপাড়। সেই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন বিচাপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। বইমেলায় সংবাদমাধ্য়মের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি এনিয়ে কিছু বলব না। তবে শুধু এটুকু বলব হুগলি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি একাধিকবার আমার এজলাসে এসেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে অত্যন্ত পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করেন তিনি। তবে এটা অন্য় বিষয়।সংসদের চেয়ারপার্সন শিল্পা নন্দীকে আমি দেখেছি। তাঁকে একাধিকবার মামলা সূত্রে আমি দেখেছি।

এদিকে আগে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ছিলেন নির্মলেন্দু অধিকারী। তবে তাঁর জমানায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নানা অনিয়মের ঘটনা সামনে আসে। এরপর ওই চেয়ারে বসেন শিল্পী নন্দী। তবে এর আগে জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনিই বসেন শিক্ষা সংসদের সভাপতির চেয়ারে। 

তবে সেই শিল্পী নন্দী সম্পর্কে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের পর্যবেক্ষণ , অত্যন্ত পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করেন তিনি। 

এদিকে হুগলিতে একাধিক ৬০ বছর পেরিয়ে যাওয়া মানুষদের হাতে স্কুলে চাকরির নিয়োগপত্র যাওয়াকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। ৬২ জন এমন ব্যক্তির নামে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিয়োগপত্র জারি করেছে যাদের বয়স ইতিমধ্যে ৬০ পার করেছে। ওই নিয়োগপত্র নিয়ে কী করবেন তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। বলা ভালো নিয়োগপত্র পেয়ে আনন্দ তো দূরের কথা কার্যত দিশেহারা অবস্থা তাঁদের কয়েকজনের। 

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চলতি মাসে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ৬৬ জনের নামে নিয়োগপত্র জারি হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনের আগেই মৃত্যু হয়েছে। ৬২ জনের বয়স ৬০ বছর পার করেছে। ফলে চাকরিতে কোনও ভাবেই যোগদান করতে পারবেন না তাঁরা। নিয়োগপত্র পাওয়া ৭১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বলেন, ১৯৮৩ সালে আমাদের অযোগ্য ঘোষণা করে তৎকালীন বাম সরকার। এর পর প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় আমরা চাকরি পাইনি। গত ২০ ডিসেম্বর আমাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়। এর পর নিয়োগপত্র জারি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু যাদের নামে নিয়োগপত্র জারি হয়েছে তারা সবাই ৬০ বছর পার করেছে। এদের মধ্যে ৪ জনের ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে তাদের কর্মজীবন শুরু হয়েছে বলে ধরতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।