Humayun Kabir: কম কথা বলো! শপথ করিয়েছিলেন নেত্রী, মিটিং থেকে বেরিয়েই মুখে খই ফোটালেন হুমায়ুন

হুমায়ুন কবীর।মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক তিনি। দলের অন্দরে নানা সময়ে নানা কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন তিনি। এবার সেই হুমায়ুন কবীর কার্যত ফের দলের ওপরমহলের দাবিকে নস্যাত করে দিলেন। কার্যত সেই সঙ্গেই বিতর্ককে বাড়িয়ে দিলেন তিনি। কিন্তু কীভাবে বিতর্ক বাড়ালেন তিনি?

আসলে সমস্যাটা হয়েছিল অন্য় জায়গায়। অনেকের মতে শুক্রবার দলের মিটিংয়ে কার্যত জোড়া ধমক খাওয়ার পরেও সতর্ক হলেন না তিনি। 

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কার্যত ধমক দিয়েছেন হুমায়ুন কবীরকে। সূত্রের খবর তাঁকে বলা হয়েছিল তুমি প্রেসের সামনে দলের ব্যাপারে একটু কম কথা বলো। কিন্তু কে শুনছে কার কথা!
এদিকে সূত্রের খবর, তিনি নেত্রীর ধমক খাওয়ার পরে নাকি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর বাইরে মুখ খুলবেন না। কিন্তু বলাই সার। 

আসলে কালীঘাটের বাড়িতে মুর্শিদাবাদের নেতৃত্বের সঙ্গে নেত্রীর বৈঠক ছিল। সেখানে নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের কথাবার্তা হয়। সেখানে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও ছিলেন। সংবাদমাধ্য়মের সামনে যখন তখন মুখ খোলা নিয়ে তাঁকে নেত্রী সতর্ক করে দেন। এদিকে তিনি সেই সময় জানিয়ে দিয়েছিলেন নিজে থেকে তিনি মুখ খোলেন না। সংবাদমাধ্য়ম তাঁকে বলিয়ে নেন।

নেত্রী বলে দিয়েছিলেন, একটু কম কথা বলো। মিডিয়াকে সব বলা বন্ধ করে। আর অভিষেক বলেছিলেন, কিছু কিছু নেতা যদি ভাবেন জিতে মৌরসীপাট্টা জমাবেন তাহলে ভুল হবে।

কিন্তু এদিন মমতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে অনর্গল বলে গেলেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমরা যদি লোকসভা ভোটে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারি তবে মুর্শিদাবাদে তিনটি আসনই জিততে পারবে তৃণমূল।

নেত্রীর শপথ করানো, বকাঝকা সব উবে গেল এক নিমেষে। বাইরে বেরিয়ে এসেই ভোকাল হলেন হুমায়ুন। তবে দল বিরোধী কোনও কথা নয়। কিন্তু কম কথা বলার মানুষ যে তিনি নন সেটাই যেন জানিয়ে দিলেন তিনি।