Mahua Moitra Latest Update: হল না ‘বলপ্রয়োগ’, নিজে থেকেই সরকারি বাংলো ছাড়লেন ICU-তে ভরতি থাকা মহুয়া

ডিসেম্বরে সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন। আর আজ হাতছাড়া হল দিল্লির সরকারি বাসভবন। আজই মহুয়াকে সরকারি বাংলো থেকে উচ্ছেদ করার জন্য দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহায়ণ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস। এরই মাঝে মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী জানিয়ে দিলেন, প্রাক্তন সাংসদ নিজের থেকেই বাড়ি খালি করে দিয়েছেন। সরকারি আধিকারিকরা আজকে মহুয়ার বাংলোতে পৌঁছলে সেখানকার চাবি তাঁদের হাতে তুলে দেন তৃণমূল নেত্রীর আইনজীবী। এর আগে উচ্ছেদের নোটিশে স্থগিতাদেশ চেয়ে গতকালই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। সেই সময় মহুয়ার আইনদীবী দাবি করেছিলেন, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। সম্প্রতি তিনি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভরতি ছিলেন। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। এই আবহে আজ সকালে মহুয়াকে সরকারি বাংলো থেকে উচ্ছেদ করতে দল পাঠায় ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস। এদিকে সরকারি কর্মীরা ‘বলপ্রয়োগের’ আগেই বাড়ি খালি করে দেন মহুয়া। (আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র বিরুদ্ধে FIR দায়ের অসমে)

আরও পড়ুন: ‘লাল রেখা…’, জবাবি হামলার পর ‘বন্ধু’ পাকিস্তানকে সতর্কবার্তা ইরানের

এর আগে বাংলো ছাড়ার তৃতীয় নোটিশ পেয়েই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। তবে সেখানে জোর ধাক্কা খেতে হয়েছিল তাঁকে। উল্লেখ্য, লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কারের ঘোষণার পরই মহুয়াকে বাড়ি খালি করার নোটিস দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস প্রাথমিক ভাবে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাড়ি খালি করতে বলেছিল মহুয়াকে। তবে সেই সময়ের মধ্যে মহুয়া বাড়ি খালি করেননি। এরপর আরও দু’টি উচ্ছেদের নোটিশ মহুয়াকে পাঠানো হয়। এর মধ্যে সাম্প্রতিকতম নোটিসের ‘ভাষা’ নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তাতে আধিকারিক পাঠানোর উল্লেখ ছিল। বলপূর্বক মহুয়াকে উচ্ছেদের ইঙ্গিত ছিল সেই নোটিশে। এই আবহে দিল্লির উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সেই নোটিশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন মহুয়া। তবে তাঁর সেই দাবি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। আর মহুয়ার সেই আবেদন খারিজের একদিন পরই উচ্ছেদকারী দল পাঠায় ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস। তবে কোনও রকমের হাঙ্গামা ছাড়াই বাড়ি ছেড়েছেন মহুয়া।

আরও পড়ুন: ‘উভয় দেশের জন্য…’, মলদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যা বলল ভারত

অবশ্য, তার আগে একাধিকবার শো-কজ নোটিস পাঠানোর পরও সরকারি বাংলো খালি করেননি মহুয়া। এই আবহে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার তৃতীয়বারের জন্য উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। সেই নোটিশে লেখা ছিল, বাংলো খালি করা না হলে প্রয়োজনে বল প্রয়োগও করা হতে পারে। এর পর প্রশ্ন ওঠে নোটিশের ভাষা নিয়ে। প্রসঙ্গত, এর আগে ‘ঘুষের বদলে সংসদে প্রশ্ন করা’ মামলায় লোকসভা থেকে গত ৮ ডিসেম্বর বহিষ্কৃত হয়েছিলেন মহুয়া। তার পরেই তাঁকে সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। তবে উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে বাড়ি ছাড়েননি মহুয়া। এই আবহে গত ১১ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার নোটিশ পাঠিয়ে মহুয়াকে বাড়ি ছাড়তে বলে ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস। ১৬ জানুয়ারির মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল মহুয়াকে। সেই সময়সীমাও পার হলে ফের মহুয়ার হাতে নোটিশ ধরানো হয়। আর এই তৃতীয় নোটিশের ভাষা ছিল বেশ কড়া। আর তা থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, মহুয়াকে বাড়িছাড়া করতে এবার বলপ্রয়োগ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই শঙ্কার মাঝেই আজ সকালে মহুয়ার বাড়িতে দল পাঠায় ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস। তবে কোনও ‘বলপ্রয়োগের’ আগেই মহুয়া বাড়ি ছেড়ে দেন।