Pakistan on High Alert: প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ইরানের মাটিতে শিশু-মহিলাদের হত্যা, হাই অ্যালার্টে ‘আতঙ্কিত’ পাকিস্তান

‘প্রতিশোধ’ নিতে ইরানের মাটিতে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। পাক সেনার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠনের ঘাঁটিতে এই হামলা চালিয়েছিল তারা। তবে এবার তেহরান দাবি করল, পাক এয়ারস্ট্রাইকে চার শিশু এবং তিনজন মহিলার মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়াও দু’জন পরুষেরও মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। সব মিলিয়ে পাক হামলায় ইরানের মাটিতে প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের। এদিকে পাকিস্তান দাবি করছে, এই অভিযানে তারা জঙ্গিদের খতম করেছে। এই সবের মাঝেই ইসলামাবাদ নাকি ‘অত্যন্ত উচ্চ সতর্কতা’ জারি করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের প্রধান দুই দেশকেই শান্তি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আমেরিকা এই ঘটনা নিয়ে ইরানকে খোঁচা মারলেও শান্তি বজায় রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছে। (আরও পড়ুন: ‘উভয় দেশের জন্য…’, মলদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যা বলল ভারত)

আরও পড়ুন: রামমন্দিরের অনুষ্ঠানের আগে ‘ব্রত’ মোদীর, ঘুমোচ্ছেন মেঝেতে, খাচ্ছেন শুধু ডাবের জল

উল্লেখ্য, প্রথমে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে অভিযান চালিয়েছিল ইরান। জবাবে ইসলামাবাদও ইরানের জমিতে পালটা হামলা চালায়। এই আবহে এবার মুখ খুলল তেহরান। ইসলামাবাদকে ‘বন্ধু’ আখ্যা দিয়েও জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার প্রসঙ্গে সতর্ক করে দিল তেহরান। <p>সম্প্রতি বালোচিস্তানে পাক জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ইরান। তেহরানের সেই পদক্ষেপের পর পাকিস্তানের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, এই হামলায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এই আবহে ইরানকে পালটা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পাকিস্তান। সেই মতো ইরানের মাটিতে হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। পাকিস্তানের দাবি, তাদের অভিযানে জঙ্গিরা মারা পড়েছে। তবে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই হামলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪ জন শিশু এবং তিনজন মহিলা।

এই সবের মাঝেই ইরানের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের নীতি মেনে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ইরান। তেহরান ও ইসলামাবাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কেযে চিড় ধরাতে দেবে না ইরান। তবে আমরা আমাদের জনগণের নিরাপত্তা এবং দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে লাল রেখা হিসাবে বিবেচনা করি। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি যে পাকিস্তানের সরকার তাদের মাটিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি স্থাপন করতে দেবে না এবং প্রতিবেশী হিসেবে বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে।’

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পশ্চিমে বালোচিস্তান প্রদেশ লাগোয়া প্রায় ১০০০ কিমি লম্বা সীমান্ত রয়েছে ইরানের। বিগত কয়েক দশক ধরেই বালোচিস্তানে স্বাধীতাকামী সশস্ত্র সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে সেখানে পাক-তালিবান এবং আল-কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনেরও তৎপরতা বেড়েছে। সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। অনায়াসে সীমান্ত পেরিয়ে যায় জঙ্গি ও পাচারকারীরা। সেটা দু’দেশের প্রশাসনের অজানা নয়। সেইসবের মধ্যেই দু’দেশই একে অপরের উপর এয়ারস্ট্রাইক চালানোয় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।