Suvendu vs Adhishek: এক মাসের মধ্যে কোর্ট – SDO অফিস চালু করে দেখাক, ধূপগুড়ি মহকুমা নিয়ে শুভেন্দু

মহকুমা করলেই হবে না। ১ মাসের মধ্যে SDO অফিস থেকে আদালত চালু করে দেখাতে হবে। ধূপগুড়ি খাতায় – কলমে মহকুমা হওয়ার পর তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর কটাক্ষ, ৩১ তারিখের মধ্যে তো হয়নি।

বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ধূপগুড়িতে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা করার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর রাজ্য মন্ত্রিসভায় সেই প্রস্তাব পাশ হয়। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর পার হয়ে গেলেও সেই প্রস্তাব কার্যকর হয়নি। যার ফলে অভিষেকের প্রতিশ্রুতি ভুয়ো বলে কটাক্ষ করতে শুরু করে বিরোধীরা। এর পরই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির অনুমোদন নিয়ে ১৮ জানুয়ারি থেকে ধূপগুড়িতে খাতায় – কলমে মহকুমার স্বীকৃতি দেয় রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশনামা টুইট করে শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘মা মাটি মানুষের সরকার তার কথা রেখেছে।’

যদিও ধূপগুড়িতে মহকুমার স্বীকৃতি দেওয়ার নামে আসলে স্থানীয়দের চোখে ধুলো দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু। শুক্রবার মেখলিগঞ্জের সভায় তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয়ে ধূপগুড়ি মহকুমা হয়েছে। ৩১ তারিখ পর্যন্ত তো হয়নি। প্রধান বিচারপতির হাত-পা ধরে আজকে বলে দিচ্ছে ধূপগুড়ি মহকুমা হয়ে গেছে। মহকুমা করার আগে জমি নিতে হয়, বিল্ডিং বানাতে হয়। আমি চোর তৃণমূলকে বলছি, ক্ষমতা যদি থাকে ১ মাসের মধ্যে SDO-র অফিস চালু করো। চালু করো SDO কোর্ট, চালু করো মোটর ভেহিকল অফিস। মহকুমা শহরের অন্যান্য উন্নয়ন করে দেখাও। হাসপাতালকে মহকুমা হাসপাতালে উন্নীত করো। কিন্তু কিছু করতে পারবে না’।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘উনি তো প্রথমে ডেডলাইন মিস করেছেন। উনি তো বলেছিলেন ওমুক দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। কই হল না তো। তার পর ভুলেই গেছিলেন। আমরা মনে করিয়ে দিলাম বলে হল। ভারতীয় জনতা পার্টি ওখানে আন্দোলন করছে। ওখানে বহু মানুষ নাগরিক মঞ্চের নামে বিধায়কের বাড়ির সামনে ধরনা দিচ্ছে। তাই করতে বাধ্য হয়েছে। নইলে হত না কি’?