Justice Abhijit Ganguly: ভুয়ো জাতি প্রমাণপত্র দিয়ে MBBS-এ ভর্তিতে CBI তদন্ত?

কারচুপির মাধ্যমে জাতি প্রমাণপত্র আদায় করে ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার দুর্নীতির তদন্তভার CBIএর হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার এক ডাক্তারিতে ভর্তির অপেক্ষায় থাকা তরুণীর দায়ের করা মামলায় এই ইঙ্গিত দেন তিনি। এই মামলায় ইতিমধ্যে সব পক্ষের হলফনামা তলব করেছেন বিচারপতি।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কারচুপির মাধ্যমে জাতি প্রমাণপত্র জোগাড় করে তার সুবিধা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিক তৃণমূল প্রার্থীর জাতি প্রমাণপত্র জাল বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। এমনকী পঞ্চায়েত প্রধান হতে বাবার নাম বদলে জাতি প্রমাণপত্র জোগাড় করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এমনকী অযোগ্য ব্যক্তিকে জাতি প্রমাণপত্র জারি করার পিছনে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ রয়েছেন বলে অভিযোগ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ইতিশা সরেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী আদালতে অভিযোগ করেছিলেন ২০২৩ সালে কারচুপির মাধ্যমে জাতি প্রমাণপত্র জোগাড় করে ২৭ জন ডাক্তারিতে ভর্তি হয়েছেন। যার ফলে সুযোগ পাননি তিনি। এদের মধ্যে রয়েছেন ভৌমিক – সিংহ পদবীর প্রার্থীরাও।

এই মামলায় আগেই ইতিশাকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘ভৌমিক, সিংহ পদবীর ব্যক্তিরা কি জাতি প্রমাণপত্র পেতে পারেন? এদের জাতি প্রমাণপত্র দিল কে? এব্যাপারে আদালত সব পক্ষের মত জানতে চায়। তেমন হলে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবে আদালত।’

এর আগে এই মামলায় কড়া পর্যবেক্ষ জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি আসানসোল সদরে মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে ১৭টি জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি পর্যবেক্ষণ,’এই মামলা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এ নিয়ে রাজ্যকে আরও তৎপর হাওয়া উচিত ছিল।’ বিচারপতির বার্তা, ভুয়ো শংসাপত্র দিলে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং ফৌজদারি অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশ, ‘জাল শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখবেন জেলাশাসক। যদি ধরা পড়ে তবে উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে। একটি পচা আপেল থাকলেও তাকে খুঁজে বের করুন। যেভাবে সার্টিফিকেট বাতিল করা হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে অভিযোগের সত্যতা আছে। রাজ্য এভাবে বসে থাকতে পারে না। একটা ভিজিলেন্স বসানো উচিত। অনগ্রসর শ্রেণি দফতরের সচিব নোটিশ দিয়ে সমস্ত জেলাকে জানাবেন কাদের সার্টিফিকেট হয়েছে। আদালতে জানাতে হবে। যদি কোনও অফিসার জাল সার্টিফিকেট ইস্যু করেন সেক্ষেত্রে তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে।’