নিমতার ছেলের স্বপ্নের উড়ান, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং আর সাহিত্যচর্চা চলছে সমান তালে

নাসা’র সিটিজেন সাইনটিস্ট স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবার জুটলো ‘ভারত শ্রী অ্যাওয়ার্ড’। উত্তর ২৪ পরগনার ছেলে উজ্জলের কাজে সত্যিই যেন আলোক উজ্জ্বল গোটা জেলা। এর আগে পৃথিবীর মধ্যে কনিষ্ঠতম এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিজের নাম গিনেস বুকে তুলেছিলেন উজ্জ্বল। এরপর ন্যাশনাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা NASA-এর থেকে ‘সিটিজেন সায়েন্টিস্ট’-এর স্বীকৃতিও মেলে। এবার ভারত সরকারের তরফ থেকে মিলল ভারত শ্রী অ্যাওয়ার্ড, আর এই পুরস্কারে স্বভাবতই খুশি পরিবার থেকে আত্মীয়-পরিজন সকলেই।

ছেলেবেলা থেকেই লেখাপড়ায় ভালো উজ্জলের স্বপ্ন ছিল মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার। সেই স্বপ্নই বাস্তবের মাটি ছুঁল। গবেষণার পাশাপাশি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল সাহিত্য চর্চার সুযোগ মোটেই হাতছাড়া করতে চান না। উজ্জল জানান, এই সম্মান একজন বাঙালির জন্য অত্যন্ত গর্বের। ছেলেবেলা থেকেই চাঁদ-তারা-আকাশ দেখতে ভালো লাগতো তার। মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসাটা যাতে সকলের মধ্যে সঞ্চারিত হয় সেই চেষ্টাই করে যাবেন তিনি। প্রতিবছরই বিভিন্ন বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ বা কাজের জন্য নাসার কাছে আবেদন করা যায়। এই আবেদন সকলেই করতে পারেন। নতুন ছাত্রছাত্রী, গবেষকরা যাতে এই বিষয়ে উৎসাহ পান, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন উজ্জ্বল।

বর্তমানে উজ্জ্বল কর্মসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরু। একটি বিমান নির্মাণকারী সংস্থায় নকশা তৈরীর কাজ করেন তিনি। নতুন গবেষণা নিয়েও তিনি বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন। পৃথিবীর আদি শক্তির উৎস নিয়ে নতুন গবেষণায় মেতে রয়েছেন বাংলার এই তরুণ গবেষক। তার ঝুলিতে রয়েছে ভারত ভূষণের মত সম্মান ও ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম রাষ্ট্রীয় রত্ন পুরস্কার। বঙ্গ গৌরব সম্মানও পেয়েছেন এই তরুণ বৈজ্ঞানিক। ইন্ডিয়া প্রাইম-এর বিচারে বর্তমানে ভারতের সেরা ১০০ জন লেখকের তালিকাতেও নাম তুলেছেন অবলীলায়। আত্মীয় পরিজনের গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলার গর্বের মুখ হয়ে উঠেছেন এই বাঙালি যুবক। তার কৃতিত্বে খুশি নিমতার পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই। একাধারে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার ও সাহিত্যিক উজ্জ্বল সত্যিই এক বিরল প্রতিভা।