India Vs Maldives Row Latest Update: ভারতের ওপর ‘রাগ’, মুইজ্জুর একগুঁয়ে মনোভাবে প্রাণ গেল মলদ্বীপের ছোট্ট শিশুর

দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে মলদ্বীপের। একদা বন্ধু মলদ্বীপ এখন ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে। এই আবহে সরকারের একগুঁয়ে মনোভাবের জেরে সেদেশে অকালে প্রাণ হারাতে হল এক ছোট্ট শিশুকে। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মেডিক্যাল ইমারজেন্সির ক্ষেত্রে মলদ্বীপকে সাহায্য করতে ভারতের তরফ থেকে সেই দেশকে দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি বিমান দেওয়া হয়েছে। তবে সেই বিমান ও হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্যে সেদেশে ভারতের ৭০ জন সামিক বাহিনীর সদস্য আছেন। এই ৭০ সেনাকর্মীকে মলদ্বীপ ছাড়তে বলেছে মুইজ্জু সরকার। এই সবের মাঝেই সম্প্রতি এক ১৩ বছর বয়সি শিশুর মেডিক্যাল ইমারজেন্সি দেখা দেয়। তবে জরুরি পরিস্থিতিতেও ভারতীয় চপার ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করে মলদ্বীপ সরকার। এরজেরে চিকিৎসায় দেরি হয়। আর প্রাণ হারায় সেই শিশু। (আরও পড়ুন: মোদীর চোখে অলিম্পিকের স্বপ্ন, খেলাধুলো থেকে ‘নোংরা খেলা’ বাদ দেওয়ার বার্তা PM-এর)

আরও পড়ুন: ‘রামমন্দির উদ্বোধনে শুভেচ্ছা…’, বললেন ফিরহাদ, ২২ তারিখ বাংলাতেও থাকবে ছুটি? 

জানা গিয়েছে, শিশুটিকে গাফু দ্বীপ থেকে মালে আনা হয় চিকিৎসার জন্য। তবে সময় মতো তাকে হাসপাতালে আনা যায়নি বলেই তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ শিশুটির মা-বাবার। এই আবহে ভারতীয় হেলিকপ্টার ব্যবহার না করায় প্রশ্নের মুখে পড়ে মুইজ্জু সরকার। এই নিয়ে সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ঘাসান দাবি করেন, দেশের ৯৩ শতাংশ উদ্ধারকাজ এখন মলদ্বীপ এয়ারলাইন্সই চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক বিগত কয়েক মাসে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মলদ্বীপের নির্বাচনে মহম্মদ মুইজ্জুর জয়ের পরই সম্পর্কের এই অবনতি। আর এরই মাঝে ভারতের ৭০ জন সেনাকর্মীকে মলদ্বীপ থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন মুইজ্জু। কয়েকদিন আগেই মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু। এর জন্য ১৫ মার্চ পর্যন্ত সমসীমায়ও নির্ধারণ করে দিয়েছেন মুইজ্জু। এই আবহে এবার সেনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘উভয় দেশের জন্যেই কার্যকর সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা জারি আছে। ‘

উল্লেখ্য, দুর্যোগের পরিস্থিতির সময় মলদ্বীপের সাধারণ মানুষের সহায়তার স্বার্থে মলদ্বীপকে দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি ডরনিয়ার বিমান দিয়েছিল ভারত। সেই বায়ুযানগুলির পরিচালনার জন্য ভারতের ৭০ জন সেনাকর্মীর থাকা আবশ্যক। তাই মলদ্বীপের মাটিতে ভারতীয় সেনা রয়েছে। এদিকে চিন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মুইজ্জু নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই দাবি জানিয়ে এসেছেন, ভারতীয় সেনাদের মলদ্বীপ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। নির্বাচনে জিতে যাওয়ার পরও তিনি সেই দাবি তুলে ধরেছিলেন। আর সম্প্রতি চিন সফর থেকে নিজের দেশে ফিরেই ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি।

মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস ইসলামি কট্টরপন্থার নীতি মেনে রাজনীতি করে। এই আবহে চিন সফর সেড়ে গত সপ্তাহে দেশে ফিরেই ভারতকে তোপ দেগেছিলেন মুইজ্জু। ভারতের নাম না করেই তিনি বলেছিলেন, ‘যে কেউ মলদ্বীপকে এসে বকাঝকা করে যেতে পারে না। আমরা এই সাগরের ছোট দ্বীপ হতে পারি, কিন্তু আমাদেরও প্রায় ৯ লাখ বর্গ কিমির অর্থনৈতিক জোন রয়েছে। এই সমুদ্র কোনও এক নির্দিষ্ট দেশের নয়।’ এদিকে কয়েকদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন সেদেশের তিন মন্ত্রী। এই আবহে তিনজনকেই পদ খোয়াতে হয়েছে। তবে এই ঘটনার জেরে মলদ্বীপকে বয়কটের ডাক ওঠে ভারতে। এই সবের মাঝেই এবার রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারত সফরে আসতে চেয়েছিলেন মুইজ্জু। তবে দিল্লি তাতে আগ্রহ দেখায়নি বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে।