Noida murder case: বিমানকর্মী খুন, জমি নিয়ে ২ পরিবারের লড়াই পরিণত হয়েছিল গ্যাং ওয়ারে, ধৃত ২

শুক্রবার নয়ডায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কর্মী সুরজ মানকে খুনের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী সহ দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় তার খুড়তুতো ভাই ধীরজ মান এবং অরুণ ওরফে মান্নুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধীরজ হল কুখ্যাত গ্যাংস্টার কপিল মানের ভাই। তদন্তকারী জানতে পেরেছেন, ১০০ গজ জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ পরিণত হয়েছিল গ্যাং ওয়্যারে। আর এই সংঘর্ষের জেরে শুধু দুই পরিবারের সদস্যের রক্ত ঝরেছে। এই লড়াই চলছে গত ১৫ বছর ধরে। দুই পরিবারের লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত খুন হয়েছে ৫ জন।

আরও পড়ুন: জিম থেকে বেরিয়ে গাড়িতে বসতেই গুলি চালায় আততায়ীরা, নিহত বিমান কর্মী

জানা গিয়েছে, সুরজ মূলত দিল্লির নারেলা এলাকার খেদা খুর্দ গ্রামের বাসিন্দা। কুখ্যাত অপরাধী প্রবেশ মান ওরফে সাগর তার বড় ভাই। শত্রুতার কারণে তিনি গ্রাম ছেড়ে সেক্টর ১১০ এ বসবাস করছিলেন। পাশেই তার গ্রামের কপিল মান ওরফে কাল্লুর বাড়িও। প্রবেশ এবং কপিল বর্তমানে মান্ডোলি জেলে বন্দি রয়েছে। দু’জনের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে ১৫ বছর ধরে। গ্রামের ১০০ গজ জমি নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এই বিরোধকে ঘিরে শুরু হয় দুজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সেই সময় কপিল গ্যাং ২০১৯ সালে প্রবেশের কাকাতো ভাই অনিল মানকে খুন করেছিল।  পালটা ২০২২ সালে কপিলের বাবাকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে প্রবেশ মান গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। একই বছর প্রবেশের কাকা বীরেন্দ্র মানকেও খুন করা হয়। প্রবেশের বন্ধু মনীশ মানকে মারাত্মক আক্রমণ করা হয়। তাকে লক্ষ্য করে ১৯–২০টি গুলি ছোড়া হলেও তিনি বেঁচে যান বলে জানা যায়। অন্যদিকে, প্রবেশ মান গ্যাং ২০২২ সালে কপিলের বাবাকে খুন করেছিল। এর আগে ২০১৭ সালে কপিলের মামা সূর্য প্রকাশ ওরফে বাবলুকে খুন করে।

এখন পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে, বাবার খুনের প্রতিশোধ নিতেই কপিল ওরফে কাল্লু গ্যাংয়ের হাতে খুন হয়েছে সুরজ। এই ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশের ৪টি দল গঠন করা হয়েছে। ২০০ টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মান্নুর ভাইকে আক্রমণ করেছিল প্রবেশ। এতে তিনি রক্ষা পান। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত আছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।