Madhyamik Exam 2024: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করবেন না পুলিশরা, তবে করবেন ‘কারা’, জানুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় টুকলি রোধে গত কয়েক বছর ধরে তৎপর প্রশাসন। পাশাপাশি, প্রশ্নপত্র যাতে কোনওভাবেই ফাঁস না হয়, তার জন্যও নেওয়া হয়েছে একাধিক কড়া ব্যবস্থা। এবার পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালানোর ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি নেওয়ার দায়িত্ব বহন করবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এর আগে, এই দায়িত্ব ছিল পুলিশের হাতে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালানোর ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরীক্ষার্থীদের কাছে বিশ্বস্ত। তারা আরও সতর্কতার সঙ্গে তল্লাশি চালাতে পারবেন। এতে টুকলি রোধে সহায়তা হবে বলে আমরা আশা করছি।’ তাঁর মতে, নতুন সিদ্ধান্তের ফলে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি প্রক্রিয়া আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে টুকলি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিদ্ধান্তটি কি?

মাধ্যমিক পরীক্ষার নিরাপত্তা ও টুকলি রোধে কড়া পদক্ষেপ নিতে এবার পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তল্লাশির দায়িত্ব পুলিশের কাছ থেকে শিক্ষকদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্দেশিকা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকা।

এর আগে, পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তল্লাশির দায়িত্ব ছিল পুলিশের। তবে, পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের তল্লাশির সময় কয়েক দফা বিতর্ক ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তল্লাশির দায়িত্ব পুলিশের কাছ থেকে শিক্ষকদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের কারণ কি?

মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য তারা অনেক পরিশ্রম করে। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে মানসিক চাপ থাকে। এই চাপের মধ্যে পুলিশের তল্লাশি তাদের আরও বেশি মানসিক চাপে ফেলতে পারে। তাই রাজ্য সরকার পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তল্লাশির দায়িত্ব পুলিশের কাছ থেকে শিক্ষকদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাজ্যের মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা দুদিন আগে শিক্ষা দফতর, পুলিশ, বিদ্যুৎ ও পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরীক্ষার দিনগুলোতে যাতে সকাল থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যায় বাস থাকে সে ব্যাপারে পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পরীক্ষার দিনগুলিতে যাতে জেলা ও শহরতলিতে বিদ্যুতের সরবরাহে ব্যঘাত না ঘটে সে ব্যাপারে বিদ্যুৎ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, রাজ্যের বনাঞ্চলের কাছে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র থাকলে বন্য পশু, হাতি হানা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণে, অরণ্যের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোতে ড্রপ গেট বসানোর ব্যাপারেও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জুড়ে মোট ৪০০টি ড্রপ গেট বসানো হয়েছিল গত বছর। এবারেও সেই একই ব্যবস্থা থাকার নির্দেশিকা রয়েছে। প্রতিটি জেলায় যাতে সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করা যায়, সে কারণে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলার ব্যাপারেও জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।