Tourist Data: কোথায় কত পর্যটক? কত খরচ করছেন? এই প্রথম তথ্য় সংগ্রহ শুরু করল সরকার

পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলাই পর্যটন সমৃদ্ধ। শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, দিঘা থেকে বক্রেশ্বর, হাজারদুয়ারি থেকে সুন্দরবন পর্যটক কিছু কম আসেন না। কিন্তু কোথায় কোন মরসুমে কত পর্যটক আসেন তার কোনও নির্দিষ্ট হিসেব সরকারের কাছে থাকে না। সবটাই হয় অনুমান ভিত্তিক। সেকারণেই এবার এনিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য বের করতে চায় রাজ্য সরকার। এর ফলে সামগ্রিকভাবে উপকার হবে  পর্যটন শিল্পের। 

কত পর্যটক আসছেন, কোথায় থাকছেন, হোটেল নাকি হোম স্টের প্রতি তাদের আগ্রহ রয়েছে? খরচ কেমন করছেন এই সব তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে সরকার। এই তথ্য়ের উপর সামগ্রিকভাবে এলাকার পর্যটনের আরও প্রসারের সম্ভাবনা জড়িয়ে রয়েছে। 

দীঘা থেকে শান্তিনিকেতন, কালিম্পং থেকে বকখালি ঢল নামে পর্যটকদের। পাহাড়ের পাশাপাশি ডুয়ার্সেও জঙ্গল দেখতে যান অনেকেই। কিন্তু তার বাস্তব সম্মত হিসেবটা মেলে না। 

কীভাবে এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে?

মূলত বিভিন্ন হোটেল, হোমস্টে, বাস টার্মিনাস, পর্যটনকেন্দ্র, লজ থেকে তথ্য় নেওয়া হবে। রাজ্যস্তরে এজেন্সি নিয়োগ করে এই কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। তবে সামনেই লোকসভা ভোট। তার জেরে তথ্য় সংগ্রহের কাজে কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে পর্যটক সমৃদ্ধ ২৩টা জেলায় কাজ হবে। নির্দিষ্ট টিম এই কাজ করবে। 

এদিকে জাতীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের হাতে পর্যটকদের সংখ্য়া সম্পর্কিত নির্দিষ্ট তথ্য় থাকে। বিভিন্ন মিটিংয়ে, অনুষ্ঠানে, বিজ্ঞাপনে তারা এই তথ্য় তুলে ধরে। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে সেভাবে নির্দিষ্ট সংখ্য়া জানানো হয় না।

এদিকে খোদ মুখ্য়মন্ত্রী রাজ্যের পর্যটনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বার বার জোর দিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও এজন্য় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকারি রিসর্টগুলি সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কত পর্যটক ঘুরতে যাচ্ছে সেই সংখ্য়াটা জানা দরকার। তার উপর নির্ভর করে পরিকাঠামো উন্নয়ন করা যেতে পারে। সেখানে যানবাহনও বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

তবে দার্জিলিংয়ে কত পর্যটক আসেন তার একটা হিসেব মোটামুটি ভাবে পর্যটন দফতর রাখার চেষ্টা করে। পাশাপাশি দিঘাতেও একটা মোটামুটি হিসাব রাখা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট হিসাব সেভাবে রাখা হয় না। তবে এবার নির্দিষ্ট তথ্য় ভাণ্ডার তৈরি করা হবে সরকারি তরফে।