Abhishek Banerjee: ধর্মের নামে নয়, কর্মের নামে ভোট দেবেন, সিপিএম বিজেপি যাকে মন চায়… বললেন অভিষেক

ধর্মকর্মের কথা লোকের মুখে মুখে ফেরে। দুটি শব্দই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু ধর্মের সঙ্গে কর্মকে গুলিয়ে ফেললেও মহা ঝামেলা। এমনটাও বলেন অনেকে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব বার বার বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আর ২২শে জানুয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সংহতি মিছিল শেষ করে পার্কসার্কালে জানিয়ে দিলেন, যাঁকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন। কিন্তু ধর্মের নামে নয়, কর্মের নামে ভোট দেবেন।

সেই সঙ্গেই তিনি জানালেন, তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি যাকে মনে হয় তাঁকেই ভোট দেবেন। কিন্তু ধর্মের নামে নয় কর্মের নামে ভোট দেবেন।

এদিকে সোমবার অযোধ্য়ায় রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানের প্রধান যজমান ছিলেন। আর অযোধ্য়ায় রামমন্দিরকে ঘিরে মেগা ইভেন্ট। আর বাংলায় হল সংহতি মিছিল। সর্বধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে পথ হাঁটলেন মমতা-অভিষেক।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, আমরা ধর্মকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করি না। বৈচিত্রের মধ্য়ে একতার মন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি নানা দেশ, নানা মত, নানা পরিধানের মন্ত্রে। তিনি বলেন, আমি একজন হিন্দু। তা বাড়িতে পালন করব। যখন আমি মানুষের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি তখন আমার কোনও ধর্ম নেই।  আমার একটাই ধর্ম, মানবধর্ম। মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। অভিষেক বলেন, ২০২৪ সালে যদি ১০০ দিনের কাজের টাকার কথা মাথায় রেখে ভোট দেন, আপনার পাড়ায়, গ্রামের রাস্তার হাল সামনে রেখে ভোট দেন তাহলে যতবড় নেতাই হোন আপনার টাকা আটকে রাখতে পারবেন না।

এদিকে এই কর্ম শব্দটির সঙ্গে  অনেকেই আবার চৌর্য্যকর্মের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠেছে। তারা বর্তমানে গারদের আড়ালে রয়েছে। সেই কর্মকে কি আলাদা রাখছে তৃণমূল? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। 

এদিকে ২১শে জানুয়ারি রামমন্দিরের নাম না করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি লিখেছিলেন, আমার ধর্ম আমায় শেখায়নি সেই উপাসনার স্থানকে মেনে নিতে, তাকে গ্রহণ করতে সেটা মন্দির, মসজিদ, চার্চ, গুরুদোয়ারা যাই হোক না কেন যেটা ঘৃণা, হিংসা আর সাধারণ মানুষের মৃতদেহের উপর তৈরি।…